সঞ্জয় মন্ডল,বর্ধমান,০৪ মে : মূলত দৈনিক সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিক চ্যানেলগুলিকে ইলেকশন পাস ও ভিআইপিদের নির্বাচনী সভায় খবর সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয় । অথচ এর বাইরে জেলার বহু সাংবাদিক ডিজিটাল মিডিয়ারর সঙ্গে যুক্ত আছেন । কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর তাদের সাংবাদিকের পর্যায়েই ধরে না বলে অভিযোগ । সেই কারনে ভোটের সময় ছবি, ভিডিও বা তথ্যের জন্য নির্ভর করতে হয় ‘নিয়মিত’ সাংবাদিকদের উপর । এবারে এই ‘বৈমাত্রেয়’ সুলভ আচরণের বিরুদ্ধে সরব হল পূর্ব বর্ধমান জেলা ডিজিটাল মিডিয়া সংগঠন । সাংবাদিকের মর্যাদার দাবিতে তারা পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিল ।
আজ শনিবার বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউন্ডে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে জড়ো হন জেলা ডিজিটাল মিডিয়া সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য ৷ তারা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককের (ডিআইসিও) হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন । সংগঠনের সভাপতি আমজাদ আলি শেখ ও সম্পাদক পিন্টু প্যাটেলের স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত থেকেও নির্বাচন কমিশনের অনুমতিপত্র না থাকায় ভোটের সময় খবর সংগ্রহ করতে পারেন না । এমনকি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর মত ভিআইপিদের নির্বাচনী জনসভাতেও খবর সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয় না তাদের । নির্বাচন কমিশনের এই আচরণকে তারা “বৈষম্যমূলক” বলে অবিহিত করেছেন ।
সংগঠনের আরও অভিযোগ যে শুক্রবার বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্স মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারসভাতেও যথারীতি তাদের খবর সংগ্রহের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি । অথচ সংবাদ মাধ্যমের জন্য নির্ধারিত স্থানে রাখা চেয়ারে বসে অনেক অজানা ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ তাদের । এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা । সংগঠনের দাবি, ভিআইপিদের জনসভা ও ভোটের সময় খবর সংগ্রহের জন্য নিয়মিত সাংবাদিকদের মতই তাদেরও অনুমতি দিক নির্বাচন কমিশন । বিষয়টি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নজরে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক ।।