এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান), ২২ এপ্রিল : বিডিও অফিসের ভিতরে এবং খোদ বিডিও এর উপস্থিতিতে তুমুল সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর লোকজন । ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ২ বিডিও-এর কার্যালয় । আজ মঙ্গলবার আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার ও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল লালনের গোষ্ঠীর লোকজনের এই সংঘর্ষে দুজন গুরুতর জখম হয়েছে । এই ঘটনায় বিডিও চিন্ময় দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে । সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গোষ্ঠী একে অপরের উপর দায় চাপিয়েছে ।
জানা গেছে,আউশগ্রামের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে । আজ বিধায়ক অনুগামী আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি অরূপ মির্ধা বিডিও অফিস চত্বরে সিডিপিও র কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন । অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছে টাকা নিয়ে পছন্দমত জায়গায় বদলির অভিযোগ তুলে তিনি এক স্মারকলিপি জমা দেন। অরূপ মির্ধার সঙ্গে বেশ কিছু লোকজনও ছিল । স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে বিডিওর চেম্বারে ঢুকে পড়েন অরূপ । কিন্তু তার আগেই বিডিও-এর সঙ্গে কথা বলছিলেন ব্লক সভাপতির অনুগামী ভাল্কি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাদেরুল শেখ এবং আউশগ্রাম ২ যুব তৃণমূলের কনভেনর সুমন ঘোষ।
জানা গেছে,অরূপ মির্ধা বিডিওর সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথাবার্তা বলতে শুরু করলে সুমন ঘোষ তাঁর মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ডিং করতে শুরু করেন । আর এতে চরম ক্ষিপ্ত হন অরূপ মির্ধার লোকজন ৷ তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিডিও-এর চেম্বারে ঢুকে বিডিওর সামনেই সুমনকে ধরে পেটাতে থাকে । সাদেরুল ছাড়াতে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় । তৃণমূলের লোকজনদের এমন আক্রমণাত্মক রূপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিডিও । যদিও হইহট্টগোল শুনে অফিসের অন্যান্য কর্মীরা ছুটে পরিস্থিতি সামাল দেয় । এদিকে গুরুতর জখম হয়ে বিডিও-এর চেম্বারে শুয়ে কাতরাতে থাকেন সাদেরুল ও সুমন ৷ পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।
এদিকে এই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বিধায়কের উপর চাপিয়েছেন আব্দুল লালন। তিনি বিধায়কের বিরুদ্ধে দুস্কৃতী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে এলাকাকে অশান্ত করে রাখার অভিযোগ তুলেছেন । অন্যদিকে বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার ‘বিষয়টি সঠিক জানা নেই’ বলে এড়িয়ে গেছেন । তবে অরূপ মির্ধার পাল্টা অভিযোগ, ‘আব্দুল লালন লোকজন পাঠিয়ে হামলা চালালে স্থানীয়রা প্রতিরোধ করেন ।’।