এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৪ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। নিহত শওকত আলী দিদার (৪০) স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানির নেতৃত্বে একটি মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বেদগ্রাম মোড় থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
শোভাযাত্রাটি যখন ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছায়, তখন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০০-৩০০ নেতাকর্মী তাদের আটকে এবং বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের ওপর মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ১০টি গাড়ি ভাংচুর করে এবং এতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলেও দাবি করা হয়েছে । এসএম জিলানি এবং তার স্ত্রী, গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রোশান আরা রত্নাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, বিকেল ৫টার দিকে ঘোনাপাড়া এলাকায় এস এম জিলানির মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ১০টি গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।দিদারের মৃতদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চরপাটালিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় বলেও তিনি জানান।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন বলেন,আমরা এস এম জিলানির বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলাম। আমরা যখন ঘোনাপাড়া পৌঁছাই, তখন গোপালগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আমিন মোল্লা এবং গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে শত শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুজ্জামান অভিযোগ করেন, মোটর শোভাযাত্রাটি যখন ঘোনাপাড়া এলাকা অতিক্রম করছিল তখন বিএনপির কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আমরা প্রতিবাদ করলে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন ।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে ২১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত। তাদের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, পুলিশ হাসপাতালে একটি মৃতদেহ নিয়ে এসেছে।।