এইদিন ওয়েবডেস্ক,জেনেভা,০৮ অক্টোবর : উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে (UNHRC) আনা প্রস্তাবে ভোট দিল না পাকিস্থনসহ বহু মুসলিম দেশ । উলটে অনেক মুসলিম দেশ চীনের সমর্থনে ভোট দিয়েছে । পাকিস্তান ছাড়া ওই তালিকায় রয়েছে মুসলিম জনবহুল ইন্দোনেশিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান, উজবেকিস্তান এবং কাজাখস্তানসহ ১৭ টি দেশ । মজার ব্যাপার হল এই প্রস্তাবের সহ-স্পন্সরদের মধ্যে ছিল তুরস্ক।
চীনের অশান্ত জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলমানদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে (UNHRC) একটি খসড়া প্রস্তাবের ভোটে ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ইউক্রেনসহ এগারোটি দেশ ভোটে অংশ নেয়নি। । ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ১৭ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে এবং চীনসহ ১৯ টি দেশ খসড়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় ।
খসড়া প্রস্তাবের বিষয় ছিল “চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক।”খসড়া প্রস্তাবটি কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোর গ্রুপ দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল এবং তুরস্ক সহ বেশ কয়েকটি দেশ সহ-স্পন্সর করেছিল ।
চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দশ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটক কেন্দ্রে আটকে রাখা হয়েছে । ২০১৭ সালের শেষের দিক থেকে চীনের উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগগুলি জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার নজরে আনা হয় । তবে চীনা নেতারা তা অস্বীকার করেছেন । চীন এই আটক কেন্দ্রগুলিকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে বর্ণনা করেন । চীন সরকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ জিনজিয়াংয়ে ৪,১৫,০০০ উইঘুর মুসলমানকে বন্দী করা হয়েছে । এর মধ্যে অনেকেই এমনও আছেন যারা একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। ৮ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে চীনের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী রয়েছে বলে খবর ।।