এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০১ ডিসেম্বর : বিয়ের তিন বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন যুবক । সেকারণে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন । তার জেরে তিনি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন । তবে মদের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করার মুহুর্ত ভিডিও কল করে বন্ধুদের জানিয়েও ছিলেন । অনেক খোঁজাখুঁজির পর যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের ঘটনা । বছর তেইশের ওই যুবকের নাম প্রসূন দাস । কেতুগ্রাম থানার কুমোরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় তার বাড়ি । বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজন ।
জানা গেছে,কেতুগ্রাম থানার পাচুন্দি গ্রামের পিঙ্কি নামে এক তরুনীর সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় পেশায় জনমজুর প্রসূন দাসের । স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যথেষ্ট সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের এত বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন প্রসূন । মৃতের বাবা বেনু দাস জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া সেরে বেড়িয়ে গিয়েছিল তার ছেলে । তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি । বিকেল প্রায় তিনটে নাগাদ প্রসূনের দুজন বন্ধু এসে বাড়িতে জানায় ভিডিও কল করে মদের সঙ্গে বিষপান করার কথা বলেছে প্রসূন। কিন্তু সে কোথায় আছে একথা জানায়নি ।
জানা গেছে,প্রসূনের বন্ধুদের কাছে এই খবর পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয় । নিরোলে একটি মদের দোকান রয়েছে । পরিবারের লোকজন ও প্রসূনের বন্ধুরা গিয়ে দোকান মালিককে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারে প্রসূন দোকান থেকে এক বোতল মদ কিনে নিয়ে গেছে । এরপর সকলে মিলে আশপাশের এলাকায় তন্ন তন্ন করে খুঁজতে শুরু করে । শেষে সন্ধ্যা নাগাদ দোকানের কাছাকাছি মাঠে সেচনালার পাশে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে । এরপর তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু যুবকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কাটোয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । কিন্তু রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।
মৃত যুবকের শোকে মুহ্যমান বাবা বেনু দাস বলেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী,একমাত্র ছেলে ও বউমাকে নিয়ে আমার সংসার । ছেলেটা এমন কাজ করবে কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করিনি । আমার সংসারটা ভাসিয়ে দিয়ে গেলে আমার ছেলে ।’।