এইদিন ওয়েবডেস্ক,২১ নভেম্বর : একদিকে যখন রাহুল গান্ধী একটা মার্কিন নিম্ন আদালতের রায় নিয়ে চরম উল্লসিত । কারন কুখ্যাত উদ্যোগপতি জর্জ সোরোসের ঘনিষ্ঠ নিউ ইয়র্কের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চক শুমারের নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক নিকোলাস গারুফিস দ্বারা কথিত ঘুষের অভিযোগে ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং রাহুল গান্ধী আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন । অন্যদিকে তখন রাহুল গান্ধীর (রাউল ভিঞ্চি) বিরুদ্ধে ভারতীয় হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের ষড়যন্ত্র উন্মোচন করলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা ব্লিটজের সম্পাদক সালহা উদ্দিন সোয়েব চৌধুরী ৷ তিনি আজ এক্স হ্যান্ডেলে পরপর দুটি টুইট করেছেন । আনুশা (Anusha)নামে এক খ্রিস্টান মহিলার ছবি পোস্ট করে একটা পোস্টে লিখেছেন,’রাউল ভিঞ্চির খ্রিস্টান ধর্মান্তর মিশন! আনুশা, ড্যানিয়েল স্টিফেন কার্নির স্ত্রী, ধর্মীয় ধর্মান্তর র্যাকেটের মূল হোতা যিনি প্রতি বছর হাজার হাজার হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত করছেন সেক্রেটারি, ইয়ুথ কংগ্রেস কমিটি, এবং “আইএনসি-র জন্য নির্বাচনী যুদ্ধ কক্ষ পরিচালনায় বিশেষ গবেষণা”৷ এটা কি প্রমাণ করে না – আন্তোনিও আলবিনা মাইনোর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করছে? কোন সন্দেহ?’
ছবিতে সোয়েব চৌধুরীর উল্লিখিত আনুশা নামে ওই মহিলাকে কংগ্রেসের ব্লক কমিটির একটা বৈঠকে বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে । দ্বিতীয় পোস্টে সোয়েব চৌধুরী লিখেছেন,কংগ্রেস কি একটি ধর্মান্তরিত করার ধর্মানুষ্ঠান হয়ে গেল ? আনুষাকে (@AnushaS25) দেখুন, ড্যানিয়েল স্টিফেন কার্নির স্ত্রী, ধর্মীয় রূপান্তর র্যাকেটের মূল হোতা যিনি প্রতি বছর হাজার হাজার হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত করছেন৷ আনুশা কর্ণাটক প্রদেশ যুব কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নির্বাচনী ওয়ার-রুম পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ। এই নথিভুক্ত প্রমাণের সাহায্যে, আমরা কি বলতে পারি না – আইএনসি আসলে একটি ধর্মীয় ধর্মান্তকরণের ধর্মানুষ্ঠান হওয়ার কারণে অসংখ্য অপরাধের সাথে জড়িত? অনুগ্রহ করে আন্তোনিও আলবিনা মাইনো, রাউল ভিঞ্চি এবং বিয়াঙ্কাকে এই ছবিটি ভুল প্রমাণ করতে বলুন।’
উল্লেখ্য যে সোয়েব চৌধুরী রাহুলকে রাউল ভিঞ্চি, তার মাকে আন্তোনিও আলবিনা মাইনো এবং বোন প্রিয়াঙ্কাকে বিয়াঙ্কা বলে সাধারণত সম্বোধন করেন । অন্যদিকে ড্যানিয়েল স্টিফেন কার্নি হল মার্কিন নাগরিক । ভারতে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণের জন্য মার্কিন চার্চ থেকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় । এমনকি এজন্য আমেরিকা থেকে অর্থায়নও করা হয় তাকে । আর এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে জর্জ সোরোস,জো বাইডেন, বিল ক্লিন্টন ও তার স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনদের মাথা কাজ করছে বলে অভিযোগ । ২০২৩ সালে লিগ্যাল রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট হ্যান্ডেল, লিগ্যাল রাইটস প্রোটেকশন ফোরাম , টুইট করেছে যে তারা আসামে ধর্মান্তরিতকরণ কার্যক্রমে জড়িত ড্যানিয়েল স্টিফেন কার্নি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আসাম ও মণিপুর পুলিশের ডিজিপিকে চিঠি দিয়েছিল । ড্যানিয়েল স্টিফেন কার্নি ভারতীয় মহিলা আনুষাকে বিয়ে করার পর কয়েক দশক ধরে তারা ভারতে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে । তার এই ষড়যন্ত্রের কারনে তাকে ভারত থেকে নির্বাসন এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কার্নি বছরের পর বছর নেপালে একটি ঘাঁটি স্থাপন করে এবং সমাজসেবা (কম্বল এবং গদি বিতরণ) করার বাহানায় আসাম হয়ে ভারতে এবং পরবর্তীতে মণিপুরে প্রবেশ করে ।
একটি রেডিট থ্রেড প্রকাশ করে যে কার্নি ২০০৯ সালের ২৭ আগস্ট প্রথম ভারতে এসেছিলেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে তার যাজক বন্ধু দ্বারা তাকে পরিচয় করা দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই যাজক বন্ধুর সাথে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বেশ কয়েক মাস বসবাস করেছিলেন এবং তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে তিনি যদি ভারতে থাকতে চান তবে তাকে স্থানীয়ভাবে বিয়ে করতে হবে। এইভাবে, তিনি ভারত এবং মার্কিন উভয় ক্ষেত্রেই দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হবেন। তাই, পাদ্রী বন্ধুর ভাগ্নি আনুশার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করা হয় ।
রেডডিট থ্রেড আরও বলে যে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যুদ্ধের ডাক্তার হিসাবে তার কর্মকালের সময়, তার ” প্রচার ” কার্যকলাপের কারণে তাকে মানসিক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল । তার ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায় তিনি এখন ৬ সন্তানের বাবা। তিনি একটি ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন এবং ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান করেছিলেন । জানা যায় যে সেই সময়ে তিনি তৎকালীন অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে ধর্মান্তর- সংক্রান্ত কার্যকলাপে নিজেকে জড়িত করেছিলেন। ২০১৮ সালে, তাকে ধর্মীয় এবং জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত পাবলিক অর্ডার অপরাধের দুটি ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল । আর ড্যানিয়েল স্টিফেন কার্নি এবং তার ভারতীয় স্ত্রী আনুষার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক সালহা উদ্দিন সোয়েব চৌধুরী ৷।