এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৯ জুন : করোনার টীকা নিতে পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে রাত জেগে লাইনে অপেক্ষা করছেন সাধারন মানুষ । এদিকে ভিড়ের চাপে বজায় থাকছে না করোনা বিধি । তাই কোভিড বিধি বজায় রাখতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় পুরসভা পরিচালিত দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটে রাতে বন্ধ করে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । এদিকে পুরসভার বিরুদ্ধে অব্যবস্থা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ । উঠছে টীকা নিয়ে পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ । যদিও যাবতীয় অভিযোগ খন্ডন করেছেন রবীন্দ্রনাথবাবু ।
কাটোয়া শহরে করোনার টীকাকরনের মোট তিনটি সেন্টার রয়েছে । তার মধ্যে একটি রয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বহির্বিভাগে । বাকি দুটি হল কাটোয়া পুরসভা পরিচালিত অজয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ভাগীরথী স্বাস্থ্যকেন্দ্র । পুরসভা পরিচালিত এই দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টীকা নিতে প্রতিদিন কাতারে কাতের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন । রাত জেগে লাইনে অপেক্ষা করার পর কুপন সংগ্রহ করছেন সাধারন মানুষ । তার ফলে গাদাগাদি ভিড়ে কোভিডবিধি ভঙ্গ হচ্ছে । মাঝে মধ্যেই টীকার জন্য লাইনে দাড়ানো মানুষদের মধ্যে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে । সর্বোপরি চুড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে টীকা নিতে আসা মানুষজনকে । এদিন মঙ্গলবারও প্রচুর সংখ্যক মহিলা ও পুরুষকে টোকেনের জন্য পুরসভা পরিচালিত দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল ।
লাইনে অপেক্ষারত মানুষদের একাংশের অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষ টীকা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে । লাইনে না দাঁড়িয়েও পছন্দের মানুষদের টীকা নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে । অথচ দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করেও অনেকে টীকা পাচ্ছেন না । সেই সঙ্গে পুরসভার বিরুদ্ধে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন সাধারন মানুষ ।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘টীকার যোগানের একটা অংশ রোজ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য দেওয়া হচ্ছে । পক্ষপাতিত্বের কোনও প্রশ্নই নেই ।’ সেই সঙ্গে তিনি পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন । বরঞ্চ টীকা নিতে আসা মানুষের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি জানান,টীকা নিতে আসা মানুষরাই কোভিড বিধিভঙ্গ করছেন । এই কারনে কোভিড বিধি বজায় রাখার স্বার্থে পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই গেট রাতে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে । ভোরে খোলা হবে । তাই টীকা নিতে ইচ্ছুক মানুষের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে তাঁরা রাতে নয়,বরঞ্চ ভোরে এসে লাইন দিন ।।