এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,০৪ জানুয়ারী :উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি রেলস্টেশনের কাছে রেলের ২৯ একর জায়গা জবরদখল করে বেশ কয়েক দশক ধরে বসবাস করছে ৫,০০০ এর অধিক পরিবার । তার মধ্যে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি, ইন্দিরা নগর ও বনভুলপুরা প্রভৃতি এলাকাগুলিতে বসবাসের বাড়ির পাশাপাশি গজিয়ে উঠেছে মসজিদ,ব্যাঙ্ক ও স্কুল । উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট গত ২০ ডিসেম্বর হলদোয়ানিতে রেলওয়ের জায়গায় বসবাসকারী ওই সমস্ত জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল । আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরে যাওয়ায় জন্য এক সপ্তাহের সময়সীমা দিয়ে নোটিশ করেছিল রেলদপ্তর । শেষে উচ্ছেদ অভিযানের প্রক্রিয়া শুরু হতেই কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে শুরু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ।
স্থানীয় কংগ্রেসে নেতা কাজি নিজামুদ্দিনের দাবি, ৭০ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে পরিবারগুলি । শীতের মরসুমে রাতারাতি তাঁদের উচ্ছেদ করা অনবিকতা হবে ।’ তাঁর কথায়,’রেলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলির বড় অংশই সংখ্যালঘু । আর সেই কারনে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র এবং উত্তরাখণ্ড সরকার ।’
এদিকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে হলদোয়ানিতে রেলের জায়গায় জবরদখলকারীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে । তারা জানিয়েছে,অপসারণের ফলে তারা গৃহহীন হয়ে যাবে । স্কুল পড়ুয়া শিশুদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এবং এই পদক্ষেপের কারনে বিপুল সংখ্যক মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের প্রভাবিত করবে । এদিকে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ । তিনি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন । বৃহস্পতিবার এই মামলায় শুনানিতে রাজি হয়েছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এস এ নাজির এবং পি এস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চ ।।