এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর দিনাজপুর,২০ জুলাই : পঞ্চায়েত ভোটের ছুটির পর বুধবার স্কুল খোলে । কিন্তু স্কুলের ঘরে ঢুকতেই চোখ কার্যত কপালে ওঠে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুলের বাকি কর্মীদের ৷ তাঁরা দেখেন স্কুলের ক্লাসরুম থেকে শুরু করে বাথরুম, এমনকি রান্না করার জায়গাতেও পড়ে রয়েছে অসংখ্য ব্যবহৃত কন্ডোম ও নিরোধের প্যাকেট । শুধু স্কুলের ভিতরেই নয়,স্কুল ভবনের চারধারে ছিল ব্যবহৃত কন্ডোমের ছড়াছড়ি । ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের নারায়ণপুর এফপি স্কুলের । কচিকাঁচাদের সামনে যাতে অস্বস্তিতে পড়তে না হয় সেই কারনে সেদিন স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয় । ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় এলাকায় ।
এদিকে ভোটের ছুটির দিনগুলিতে স্কুলের মধ্যে কারা অবাধ যৌনতায় মেতে উঠেছিল ? এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে এলাকায় । কেউ কেউ ভোট কর্মীদের দিকে ইঙ্গিত করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কিছু কিশোরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে । স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ,এলাকার কিছু কিশোর রাতের অন্ধকারে স্কুলের মধ্যে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় । ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক ওই কিশোররা স্কুলের মধ্যে মদ, গাঁজা পান করে । এমনকি নেশা করতে ডেনড্রাইট পর্যন্ত খায় তারা । সেই কারনে রাতে স্কুল চত্বরে পুলিশের নিয়মিত টহলদারির আবেদন জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান ।
কিন্তু এত বিপুল পরিমান ব্যবহৃত কন্ডোম ও নিরোধের ফাটা প্যাকেট কারা ব্যবহার করেছিল ? নেশা করলেও অত অল্পবয়সী ছেলেদের পক্ষে কি অবাধ যৌনতায় লিপ্ত হওয়া সম্ভব ? আর যদি কিশোররা এই ঘটনায় জড়িত না থাকে তাহলে কারা এই প্রকার অসামাজিক ঘটনায় লিপ্ত ছিল ? যদিও এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি ।।