এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,২৭ আগস্ট : মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যেখানে তাকে দাহ্য তরল ভর্তি বন্দুকের অগ্নিশিখা দিয়ে কোরান পোড়াতে দেখা যাচ্ছে । তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ফুটেজে, গোমেজ যুক্তি দিয়েছেন যে “ইসলাম ধর্ম অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
ভিডিওটিতে,গোমেজ মুসলমানদের প্রতি কটুক্তি করে বলেছেন, “মুসলমানরা ৫৭টি মুসলিম দেশের যেকোনো একটিতে যেতে পারে। ঈশ্বরের সাহায্যে, আমি টেক্সাসে ইসলামের অবসান ঘটাবো।” তিনি কোরান পোড়ানো অব্যাহত রেখে বলেন, “একমাত্র সত্য ঈশ্বর আছেন, এবং তিনি হলেন ইসরায়েলের ঈশ্বর।” ভিডিওর শেষে, তিনি জলন্ত কোরানের পাশে পোজ দিয়ে ভিডিওটি শেষ করেন।
গোমেজ টেক্সাস-৩১ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । তার এই বক্তব্য,আমেরিকায় ইসলামের প্রতি ক্রম বর্ধমান ঘৃণার প্রকাশ যা অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা সমর্থিত । এদিকে তার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে । মুসলিম ব্যবহারকারীরা গোমেজের বক্তব্যের নিন্দা করেছেন, এগুলিকে স্পষ্টতই ইসলামোফোবিয়া এবং ঘৃণামূলক অপরাধ হিসাবে দেখেছেন। তাদের কথায় এই ভিডিও কেবল অভিবাসী-বিরোধী প্রচারণামূলক বক্তব্যের জন্যই নয়, বরং একটি ধর্মের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে৷
সেই সাথে সন্ত্রাসীরা ভ্যালেন্টিনা গোমেজকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে শুরু করেছে । একজন সন্ত্রাসী লিখেছে,’সালওয়ান মোমিকার মতো ভাগ্য তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ভ্যালেন্টিনা গোমেজ ।’ আর একজন লিখেছে,’টেক্সাসের রিপাবলিকান প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ সম্প্রতি একটি প্রচারণার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছেন যেখানে তিনি কোরান পুড়িয়ে “টেক্সাসে ইসলামকে শেষ করে দেওয়ার” প্রতিজ্ঞা করেছেন। এটা রাজনীতি নয়। এটা উস্কানি।’
তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজের ইসলামের প্রতি ঘৃণার এটাই প্রথম বহিঃপ্রকাশ নয় । এর আগে গত এপ্রিলে টেক্সাসে মুসলিমদের বিক্ষোভ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ভ্যালেন্টিনা গোমেজ বলেছিলেন,”ইসলাম হল ধর্মদ্রোহিতা, অপরাধী এবং যৌন নিপীড়নের ধর্ম। আমি কখনই টেক্সাসে শরিয়া আইনকে দখল করতে দেব না। এটি একটি খ্রিস্টান জাতি।” এরপর তার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয় । এদিকে উপস্থিত মুসলিম জনতা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতে শুরু করে ।।