এইদিন ওয়েবডেস্ক,২০ মে : রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের পর আমেরিকা,ব্রিটেনসহ পশ্চিমি দেশগুলো রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল । ভেবেছিল এভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা রাশিয়াকে ব্যাকফুটে নিয়ে যেতে পারবে । যদিও এই নিষেধাজ্ঞাকে পশ্চিমি দেশের ‘অর্থনৈতিক আত্মহত্যা’র সামিল বলে দাবি করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । অবশেষে পুতিনের দাবিই সত্যি প্রমানিত হল । কারন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর মুদ্রাস্ফীতির চরম সীমায় পৌঁছে গেছে আমেরিকা- ব্রিটেনে । রাশিয়াকে জব্দ করতে গিয়ে দুই পশ্চিমি রাষ্ট্র এখন নিজেরাই ফেঁসে গেছে । অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে । এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮০ সালের পর পণ্যের দাম কখনই এত বাড়েনি । হাউজিং মার্কেটে মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়েছে । বিগত ২২ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার । সংস্থার প্রধান জেরম পাওয়েল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,মূদ্রাস্ফীতি না কমা পর্যন্ত সুদের হার বাড়তে থাকবে । মার্কিন অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা,২০০৭ সালের মতো মূল্যস্ফীতি থেকে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যেতে পারে তাঁদের দেশ ।
অন্যদিকে ব্রিটেনের আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি । গত মাসে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ নয় শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল । ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি নব্বইয়ের দশকের মহামন্দার সময়ের মুদ্রাস্ফীতির হারকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে । ইউরোপের সর্ববৃহৎ ৫ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে মুদ্রাস্ফীতিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ব্রিটেন । এদিকে দিন দিন খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম চড়চড় করে বেড়ে চলেছে । ফলে নাভিশ্বাস অবস্থা ব্রিটিশ নাগরিকদের ।
ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পর এই দুই রাষ্ট্রের এখন ‘সাপের ছুঁচো গেলা’ অবস্থা হয়ে গেছে । একই পরিস্থিতি ইউক্রেনেরও । পশ্চিমিদের সাহায্য নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভলোদিমির জেলেনেস্কির দেশ । এখন ‘দূরদর্শী’ পূতিনের কাছে পরাজয় স্বীকার করা ছাড়া তাদের সামনে অন্য কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা নেই বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল ।।