এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৬ মে : কট্টর ইসলাম সমালোচক সালওয়ান মমিকাকে ‘জিহাদ খতম’ সেমিনারে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের শিবশক্তি ধাম দশনা । আমন্ত্রণ পত্রে তার কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে,প্রিয় সালওয়ান মমিকা, ‘জিহাদ খতম’ করতে বিশ্ব ধর্মীয় সম্মেলন যোগদান করুন ।’ আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন মমিকা । আমন্ত্রণের উত্তরে তিনি লিখেছেন,’আমি ভারতে একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য একটি আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং আমি আমন্ত্রণটি গ্রহণ করতে পেরে এবং অমুসলিমদের কাছে ইসলামের বিপদ সম্পর্কে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। আমি আইএসআইএস সম্পর্কেও কথা বলব, যারা আক্ষরিক অর্থে কোরানকে প্রয়োগ করেছে এবং ইয়াজিদি এবং অ্যাসিরিয়ান নারীদের ধর্ষণ করেছে, এবং সেই একই ইসলামিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে হিন্দুরা আজ ভারত তথা পশ্চিমা দেশগুলিতে।’ অবশ্য তিনি অন্য আর একটা টুইটে ভারতের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন,’এই মামলার কারণে ভারতের অনেক মুসলমান আমার উপর ক্ষুব্ধ এবং তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। চিন্তা করবেন না, আমি ভারতে কোরান পোড়াব না ।’
গাজিয়াবাদের শিবশক্তি ধাম শিবশক্তি ধাম দশনার প্যাডে পঞ্চদশনাম জুনা আখড়ার সন্ন্যাসী ইয়াতি নরসিংহানন্দ গিরির নামাঙ্কিত আমন্ত্রণ পত্রে লেখা হয়েছে,’আমি আপনাকে এই চিঠিটা ব্যক্তিগত কাজ বা আগ্রহের জন্য লিখছি না । আমি আপনাকে এই চিঠি লিখছি কারণ আমি বিশ্বাস করি যে আমার দেশ, ভারত (ভারত) যেখানে সমস্ত ধর্মের অনুসারীরা আত্মসম্মান ও মর্যাদার সাথে বাস করে, আমরা যারা এখানে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিশ্বাস নিয়ে বসবাস করছি শীঘ্রই আমাদের জন্য নরকে পরিণত হবে ।ভারতে (ভারত) বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি এবং অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর জনসংখ্যার অনুপাত ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। শুধু ভারতে (ভারত) মুসলমানদের জনসংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে, যদি গ্রাউন্ড লেভেলে গবেষণা করা হয় তাহলে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত যে ২০২৯ সালে ভারতের একজন মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হবেন । যদি কোন ঐশ্বরিক শক্তির আশীর্বাদে সালে না হয় তবে সালে কেউ তা ঠেকাতে পারবে না। আর একবার যদি একজন মুসলমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে তখন তার ভিত্তিতে তার অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায় কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে শরীয়ত আইন কার্যকর করবে এবং তারপর ভারতের অবস্থা বর্তমান আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়ার মতো হয়ে যাবে। ভারতের একটি প্রদেশ কাশ্মীর এর নিখুঁত উদাহরণ ।
চিঠিতে লেখা হয়েছে,’ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমার বিশ্বাস,ভারতের প্রধানমন্ত্রী মুসলমান হওয়ার পর এই দেশটি অমুসলিমদের জন্য নরকে পরিণত হবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ এখানকার সব অমুসলিম ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারত যখন ইসলামের হাতে বন্দী হবে তখন মুসলমানরা বিশ্বের অনান্য দেশগুলিতে তাদের জনসংখ্যা আরও বৃদ্ধি ঘটিয়ে গণতন্ত্রের নাম করে সেসব দেশ দখল করে নেবে । এর পর ইসলাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হবে এবং সারা বিশ্বের সকল অমুসলিমদের নির্মূল করার চেষ্টা করবে। ইসলাম
সারা বিশ্বের প্রতিটি অমুসলিম মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে শরিয়া আইন ও রীতি অনুযায়ী অমুসলিম নারীদের গণধর্ষণ করার পর যৌনদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করবে এবং অমুসলিম পুরুষদের সবাইকে জবাই করবে । পৃথিবীর যেখানেই তারা ক্ষমতায় ছিল তখনই অনেক জায়গায় এসব করেছে ।’
সবশেষে চিঠিতে লেখা হয়েছে,’অমুসলিমদের ধ্বংস করার পর ওরা একে অপরকেই হত্যা করবে। ইসলামের অবিরাম যুদ্ধ সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত চলবে ।’।

