এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১৮ অক্টোবর : নরেন্দ্র মোদী সরকার তার দ্বিতীয় দফার রাজত্বকালে তিন তালাক প্রথাকে আইনত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । কিন্তু আইনত নিষিদ্ধ হলেও এখনো দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিন তালাক দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে আকছার । স্বভাবতই এখনো চালু আছে মধ্যযুগীয় হালালা প্রথাও । নিজের ধর্ম সম্প্রদায়ের এই দুই প্রথায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন উত্তরপ্রদেশের খুশবু বানো নামে এক মুসলিম তরুনী । হিন্দু প্রেমিক মহেশের হাত ধরে ছাড়লেন ঘর । হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে বৈদিক মতে বিয়ে করলেন প্রেমককে । ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বেরেলির । প্রেমিককে বিয়ে করে খুশবুকে খুশি দেখালেও বাপের বাড়ির হাতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে । বাধ্য হয়ে তিনি নিরাপত্তার দাবি জানাতে দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশ সুপারের কাছে।
খুশবু বানো জানিয়েছেন তার বাপের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি এলাকায় । প্রায় চার বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহেশের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । প্রথমে বন্ধুত্ব হয়, তারপর ধীরে ধীরে তিনি মহেশের প্রেমে পড়ে যান । খুশবু বলেছেন যে তিনি সবসময় সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। যখনই তিনি সুযোগ পেতেন অবশ্যই মন্দিরে যেতেন এবং হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান বোঝার চেষ্টা করতেন । মহেশের সাথে বন্ধুত্ব করার বিষয়ে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি ইসলামে হালালা এবং তিন তালাকের মত প্রথা পছন্দ করেন না ।
খুশবু জানান, মহেশের সঙ্গে সম্পর্ক তার পরিবারের সদস্যরা পছন্দ করত না । পরিবারের লোকজন এর বিরোধিতা শুরু করলে একদিন তিনি বাড়ি ছেড়ে মহেশের কাছে চলে যান । তারপর জেলা শাসকের কাছে গিয়ে নিজের বয়সের প্রমানপত্র দেখিয়ে সনাতন ধর্ম গ্রহণের আবেদন জানান । প্রশাসন সবুজ সঙ্কেত দিলে তিনি হিন্দু রীতি মেনে মহেশকে বিয়ে করেন ।
খুশবু বলেন, যে ধর্মে আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম সেই ধর্ম গ্রহণ করে খুব ভালো লাগছে । এখন আমি একজন হিন্দু এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরে এসেছি । তবে, তিনি আরও বলেছেন যে তার বাবা-মা তার সিদ্ধান্তে খুব ক্ষুব্ধ এবং সুযোগ পেলেই তাকে মেরে ফেলতে পারে । তাই এসএসপি অফিসে গিয়ে তিনি নিরাপত্তার আবেদন করেছেন ।।