এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাদাউন,২৫ মার্চ : গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বাদাউন জেলার দুই হিন্দু শিশু আয়ূষ ও আহানকে নির্মমভাবে জবাই করে দুই মুসলিম ভাই- সাজিদ ও জাভেদ । শুধু জবাই করাই নয়,ওই দুই শিশুকে তারা ২৩ বার ছুরিকাঘাত করেছিল এবং শিশুদের রক্তপান করেছিল । জোড়া হত্যাকাণ্ডের এক ঘন্টার মধ্যেই ঘাতক ‘জিহাদি’ সাজিদকে এককাউন্টার করে খতম করে ইউপি পুলিশ । এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পরেও মুসলিমদের একাংশ সাজিদের এনকাউন্টার করা নিয়ে প্রশ্ন তোলে । এখন নরপশু সাজিদকে কবরস্থ করার সময় তার শেষ যাত্রায় ভিড় দেখে ভারতের মুসলিমদের একাংশের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । অনেকে মুসলিমদের এই প্রকার মানসিকতাকে দেশের সম্প্রতি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করছে ।
সমাজকর্মী অঞ্জলি চৌধুরী লিখেছেন,’ বাদাউনে শিশু হত্যাকারী মোহাম্মদ সাজিদের জানাজা দেখুন। মোহাম্মদ সাজিদের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ। এই ছবি কি বার্তা দেয়?’ লেখক আনন্দ রঙ্গনাথন লিখেছেন,’সাজিদ এগারো বছর বয়সী আয়ুশ এবং ছয় বছরের আহানের গলা কেটে ফেলে এবং তারপর তাদের রক্ত পান করে বলে জানা গেছে। পবিত্র রমজান মাসে।তার শেষকৃত্যের দৃশ্য এটি ।’
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ, ২০২৪) সাজিদকে কবরস্থ করা হয়। বাদাউন থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাখানু গ্রামের মধ্য দিয়ে তার মৃতদেহ নিয়ে শবযাত্রা বের করা হয়। সাখানু গ্রামেই বাড়ি সাজিদের । এর আগে তার ময়নাতদন্তও হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। সাজিদের শবযাত্রা আশেপাশের গ্রামের সংখ্যক মুসলিম অংশগ্রহণ করে । স্বভাবতই একজন নরপশুর শবযাত্রায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করায় দেশের মুসলিমদের একাংশের মানসিকতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । শবযাত্রায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি প্রমান করে যে জোড়া শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাদের রক্তপানকারী নরপশু সাজিদের এককাউন্টারকে তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ।।