এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,০৬ জুন : মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের রামপুর(Rampur) লোকসভা আসনের ফলাফল সামনে এসেছে । যেখানে সমাজবাদি পার্টির (এসপি) প্রার্থী মোহীবুল্লাহ নাদভি (Mohibbullah Nadvi) ৮৭,৪৩৪ ভোটে জিতেছেন । তিনি ৪,৮১,৫০৩ ভোট পেয়েছেন । কিন্তু এই কেন্দ্রের একটা গ্রামের বুথের ভোটের ফলাফল সকলকে চমকে দিয়েছে । যা ঘিরে জোর চর্চা চলছে গোটা দেশজুড়ে । গণনার পর দেখা গেছে ওই গ্রামে বিজেপি প্রার্থী একটাও ভোট পায়নি । যদিও ওই গ্রামটিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৫৩২ টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রামের ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক সুধাংশু ত্রিবেদী । তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি বুতের ১০০ শতাংশ মুসলিম । ওই বুথে ২৩২২ ভোট পড়েছে । এই গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৫৩২ টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই বুথে বিজেপি একটি ভোটও পায়নি ।’সুধাংশু ত্রিবেদীর এই পোষ্টের পর বিভিন্ন ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ।
উল্লেখ্য যে গতবারের লোকসভার তুলনায় এবারে বেশি সংখ্যক মুসলিম প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে । ২০১৪ সালে, সংসদে মুসলিম এমপির সংখ্যা ছিল ২২ জন। এখন এই সংখ্যা ২৮ জনে পৌঁছেছে।তাদের মধ্যে একজন হলেন পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান । তিনি টানা পাঁচবার সাংসদ থাকা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে পরাজিত করেছেন । এই আসনে মুসলিম ভোট ৮,৪৮, ১৫২ যা সেখানকার জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের কাইরানায় থেকে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন ইকরা চৌধুরী। লাদাখে মোহাম্মদ হানিফ জয়ী হয়েছেন । জম্মুতে আবদুল রশিদ নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন । উত্তরপ্রদেশের রামপুর আসনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মোহীবুল্লাহ নাদভি বিজয়ী হয়েছেন । তবে সবচেয়ে বেশি ভোটে জেতা মুসলিম প্রার্থী হলেন আসামের ধুবরি আসনের প্রার্থী রাকিবুল হুসেন। তিনি মোহাম্মদ বদরুদ্দিন আজমলকে ১০ লাখ ১২ হাজার ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন । এগুলি ছাড়াও কেরালার মালাপ্পুরম লোকসভা আসনে ৬৫-৭০ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছে, যেখান থেকে মুসলিম লীগের মহম্মদ বশির জিতেছেন। একইভাবে, হায়দরাবাদে আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও ৬ লাখের বেশি ভোট পেয়ে সাংসদ হয়েছেন। মুখতার আনসারির ছেলে আফজাল আনসারিও গাজিপুর আসনে জয়ী হয়েছেন।
আমরা আপনাকে বলি যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদি পার্টি,রাষ্ট্রীয় জনতা দল, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মিলে এবারে ৭৮ জন মুসলিম নেতাকে প্রার্থী করেছিল। যেখানে ২০১৯ সালে,১১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং এর মধ্যে ২৬ জন নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় পৌঁছেছিলেন । তবে ১৯৮০ সালে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিম প্রতিনিধি লোকসভায় যোগ দিয়েছিলেন । তখন মুসলিম প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল ৪৯ জন ।।