এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,১২ ফেব্রুয়ারী : ম্যাট্রিমনি সাইটে প্রেম করে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুললেন উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের এক মহিলা আইনজীবী । শিলিগুড়ির শেঠ শ্রীলাল মার্কেট এলাকায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে রবিবার রাতে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন ওই তরুনী । কিন্তু বাড়ির দরজা খোলেনি প্রেমিক । রাত ৯ টা নাগাদ বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়লে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেয় । খবর পেয়ে পুলিশ এসে তরুনীকে গেস্টহাউসে পাঠানোর চেষ্টা করে । কিন্তু গেস্টহাউসে যেতে অস্বীকার করেন ওই তরুণী । পরে তাঁকে কোনওমতে বুঝিয়ে টোটোয় করে এনজেপি জংশনে পৌঁছে দেয় পুলিশ ।
তরুনী সংবাদমাধ্যমকে জানান,’শিলিগুড়ির ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । বিয়ের যোগাযোগও চলছিল । কিন্তু তার প্রেমিক আরেকজনকে বিয়ে করছেন বলে তিনি জানতে পারেন এরপরেই তিনি শিলিগুড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নেন ।’ তরুনী আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘ভেবেছিলাম বউ হয়ে আসব । কিন্তু এভাবে আসতে হবে তা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করিনি ।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, এত সহজে তিনি তার প্রেমিককে ছাড়বেন না ।
এদিকে ম্যাট্রিমনি সাইট নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন গুজরাটের আমেদাবাদের বাসিন্দা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং ৷ তিনি সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লিখেছেন,’আমি এর আগে অনেকবার লিখেছি যে আপনি যদি ম্যাট্রিমনি সাইটের মাধ্যমে বিয়ে করছেন, তবে দয়া করে সতর্ক থাকুন এবং সম্পূর্ণ খোঁজখবর নেওয়ার পরেই কোনো সিদ্ধান্ত নিন । কারণ গত কয়েক বছরে ম্যাট্রিমনি সাইটে প্রতারণার অনুপাত ৮০:২০ হয়ে গেছে অর্থাৎ ২০ শতাংশ প্রতারক ম্যাট্রিমনি সাইটে রয়েছে যারা তাদের তথ্য গোপন করে বিয়ে করে । এর সর্বশেষ শিকার হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের একজন গতিশীল পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠা ঠাকুর । শামলিতে পোস্ট করা ডেপুটি এসপি শ্রেষ্ঠা ঠাকুর একজন অত্যন্ত সৎ এবং বুদ্ধিমান পুলিশ অফিসার, তবুও তিনি একটি ম্যাট্রিমনি সাইটে প্রতারণার শিকার হন ।’
শ্রেষ্ঠা ঠাকুরের ঘটনার বিবরণে তিনি লিখেছেন, ‘শ্রেষ্ঠা ঠাকুর নিজের জন্য একটি সম্পর্ক খুঁজছিলেন ৷ ম্যাট্রিমোনি সাইটে, তিনি একটি সম্পর্ক পছন্দ করেছিলেন । রোহিত রাজ নামে ওই যুবক নিজেকে ২০০৮ ব্যাচের একজন আইআরএস আধিকারিক এবং রাঁচিতে পোস্টিং বলে জানিয়েছিল ৷ শ্রেষ্ঠা ঠাকুর ওই যুবক সম্পর্কে বিশেষ খবরাখবর নেননি এবং যুবককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়ে ফেলেন । কিন্তু মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে তিনি জানতে পারেন যে সে আইআরএস নয়, বরঞ্চ একজন প্রতারক ৷ এমনকি ওই যুবক মামলা মোকদ্দমার কথা বলে শ্রেষ্ঠ ঠাকুরকে ২৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে । যখন শ্রেষ্ঠ ঠাকুর জানতে পারলেন যে তার স্বামী আইআরএস নয়, একজন প্রতারক, যে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ পর্যন্ত নয় । তখন তার পায়ের নিচে মাটি সরে যায় এবং শ্রেষ্ঠ তাকে তালাক দেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েত করেন ।’।