এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১০ জানুয়ারী : ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে । আর এই ষড়যন্ত্র চালানোর জন্য পাকিস্থান ও আরব দেশগুলি থেকে প্রচুর অর্থায়ন করা হয় বলে ইতিমধ্যেই প্রমান পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি । এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে তারা অনেকাংশে সফলও । কারন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ভারতের ভূখণ্ডে ইতিমধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে হিন্দুরা । ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘গজবা-এ-হিন্দ’ -এর পরিকল্পনাকারী কয়েকজন কট্টরপন্থী মুসলিম বর্তমানে জেলে । কিন্তু বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের অবৈধভাবে ভারতে ঢুকিয়ে ভুয়ো পরিচয়পত্র করে দিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার এখনো অনেক চক্র সক্রিয় রয়েছে এদেশে । এমনই একটা চক্রের মাস্টারমাইন্ড পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা আবু সালেহ মন্ডল(৫০)কে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) । তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ । তাকে লখনউয়ের মানক নগর থেকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে যে কট্টরপন্থী আবু সালেহ মন্ডল উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে অবস্থিত মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছে । সে হারোয়া-আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসা এবং কবিরবাগ মিল্লাত একাডেমি নামে দুটি ট্রাস্ট পরিচালনা করে, নামে এনজিও হল তার আসল উদ্দেশ্য হল ভারতে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটানো । ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে ব্রিটেনের উম্মা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে এই ট্রাস্টগুলির এফসিআরএ অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা এসেছে। উম্মা ট্রাস্টকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ও সাহায্য করার জন্য ইতিমধ্যেই আমেরিকা নিষিদ্ধ করেছে । শুধু তাই নয়, আবু সালেহ আবদুল্লাহ গাজী নামে এক আসামিকে নিয়ে গাজী ফুডস সাপ্লাই অ্যান্ড গাজী ম্যাসনিজ নামে একটি ভুয়া ফার্ম গঠন করে এবং এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তহবিল আদায় করত । এই প্রতিষ্ঠানটির বাস্তবিক কোনো অস্তিত্বই নেই, শুধু কাগজে কলমে বিদ্যমান। একটি সিন্ডিকেট গঠন করে সংগ্রীহিত অর্থে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবৈধ ও ভুয়া ভারতীয় দলিল তৈরি করে ভারতের বিভিন্ন শহরে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করে দিত আবু সালেহ মন্ডল । শুধু তাই নয়,অনুপ্রবেশকারীদের আর্থিক সাহায্যও করত সে এবং কিছু অর্থ অন্যান্য দেশবিরোধী কাজেও ব্যবহার করত ।
বহুদিন ধরেই তার এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছিল ইউপি এটিএস । পুলিশ তার উপর ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল ।
জানা গেছে,এই সিন্ডিকেটের ৬ সদস্য আদিলুর রহমান আসরাফি, আবু হুরায়রা গাজী, শেখ নজিবুল হক, তানিয়া মন্ডল, ইব্রাহিম খান ও মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে প্রথমে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড । তাদের জেরা করেই আবু সালেহ মন্ডলের নাম সামনে আসে । ধৃত আবু সালেহকে জেরা করে এটিএস জানতে পেরেছে যে হাওয়ালার মাধ্যমে কিছু নগদ অর্থ এসেছিল সালেহের ভুয়ো সংস্থায় ।
উল্লেখ্য,২০২৩ সালের জুলাই মাসে,ইউপি৷ এটিএস একই সাথে মথুরা, আলিগড়, হাপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী ৬০ জনেরও 60 বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানকে গ্রেপ্তার করেছিল। আটক রোহিঙ্গাদের পশু জবাইয়ের কারখানায় চাকরি দেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে জাল ভারতীয় নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শাহজাহান শেখকে রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনাতেও রোহিঙ্গাদের নাম সামনে এসেছে । অভিযোগ, বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’ শাহজাহানের ‘রোহিঙ্গা বাহিনী’ই মূলত ইডির আধিকারিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল । ফলে উত্তরপ্রদেশ সরকার অবৈধভাবে ভারতে ঢোকা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেও এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে।
গত বছর বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়ক ও হাওড়ার তৃণমূলের এক নেত্রী প্রকাশ্য মঞ্চে বাংলাদেশীদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন । ফলে পশ্চিমবঙ্গে জনবিন্যাস দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে ওপি ইন্ডিয়া ।