এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১১ অক্টোবর : ৮ কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড(এটিএস) । ধৃতদের নাম লুকমান, ক্বারি শাহজাদ, কামিল, মোহাম্মদ আলীম, শাহজাদ, আলী নূর (বাংলাদেশী), নওয়াজিশ আনসারি এবং মুদাসির । এদের বেশিরভাগকেই উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়েছে । ধৃত সন্ত্রাসবাদীরা জামাত-উল- মুজাহিদিন এবং আল কায়েদার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে । ধৃতদের কাছ থেকে নগদ আড়াই লাখ টাকা,পেনড্রাইভ, কিছু মোবাইল এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে এটিএস । ইউপি পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সুত্র থেকে বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছিল যে আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ বা আল-কায়েদা বার-ই-সাগীর এবং সহযোগী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-উল- মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে (বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশ) নিজেদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে । তাদের লক্ষ্য গাজওয়া-ই-হিন্দ স্থাপন করা ।
উত্তরপ্রদেশের এটিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী,এরা ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম প্রভৃতি সীমান্তবর্তী রাজ্যে কট্টরপন্থী মতাদর্শের মানুষকে যুক্ত করে সেখানকার মাদ্রাসাগুলিতে নিজেদের ভিত মজবুত করে । পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ (ভোপাল) এবং উত্তরাখণ্ডের (সালেমপুর, জ্বালাপুর, হরিদ্বার জেলা) উগ্র মতাদর্শের লোকজনদের দলে টেনে জাকাত/হাদিয়া/ধর্মীয় দানের নামে সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল । বাংলা৩ এই সমস্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা তাদের নাম পরিবর্তন করে এদেশে গোপনে বসবাস করছিল এবং জিহাদের প্রস্তাব দিয়ে উগ্র মতাদর্শের লোকদের তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ।
এটিএস আরও জানিয়েছে,এই সমস্ত বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদীরা পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির চোখে ধুলো দিতে নির্দিষ্ট কিছু মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতো । এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন এবং নতুনদের সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ দিত । নবাগত সন্ত্রাসবাদীদের ইন্টারঅ্যাক্ট করার জন্য কোডও দেওয়া হত ।পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১এ,১২৩ ধারা এবং ইউএপিএ-এর ১৮,১৮বি, ২০,৩৮, ৪০ ধারায় মামলা দায়ের করেছে । ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সন্ত্রাসবাদের জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ইউপি এটিএস ।।