এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৬ ডিসেম্বর : শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধুর । স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করার কারনেই মেয়েকে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতার বাবা । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বলগোনার এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম শম্পা খাতুন (২০) । রবিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহটি পাঠানো হয় । এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মৃতার স্বামী শেখ ইসমাইলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,মঙ্গলকোট থানার মল্লিকপুর গ্রামে বাপের বাড়ি শম্পা খাতুনের । বছর চারেক আগে বলগোনার বাসিন্দা শেখ ইসমাইলের সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল । তাঁদের দেড়বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে । মৃতার বাবা মীর হাসমতের অভিযোগ, ‘বিয়ের কিছুদিন পরেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে আমার জামাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এনিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা বসে একটা মিমাংসা করা হয় । তারপর কয়েকদিন ঠিকঠাক থাকলেও ফের আমার মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে এনিয়ে অশান্তি শুরু হয় । আমার মেয়েকে নির্যাতনও করত জামাই ও তার বাড়ির লোকজন । এদিন সকালে বলগোনা থেকে কেউ আমাদের ফোন করে জানায় শম্পার মৃত্যু হয়েছে । তারপর বলগোনায় এসে মেয়ের মৃতদেহ শ্বশুরবাড়িতে পড়ে থাকতে দেখি ।’ তিনি বলেন, ‘জামাইয়ের পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করার জন্যই আমার মেয়েকে ওরা খুন করে দিয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ ।’যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে থানায় কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ।
পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে