প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২জুলাই : অস্বাভাবিক মৃত্যু হল প্রেসিডেন্সি জেল থেকে অস্থায়ীভাবে ছাড়া পাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক অপরাধীর। মৃতর নাম রতন শিকদার (৭২)।তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আবুজহাটি ২ পঞ্চায়েতের উদয়পুর বাদলাগরিয়া গ্রামে ।বৃহস্পতিবার বেলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীর মৃত্যুর খবর পেয়েই জামালপুর থানার পুলিশ নড়ে চড়ে বসে । রতন শিকদারকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয় । সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার মৃতর সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট ) সম্পূর্ণ করার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর নির্দেশ দেন । পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হবে ।
মৃত ব্যক্তির ছেলে রঞ্জন শিকদার এদিন জানিয়েছেন ,একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর বাবা রতন শিকদারের যাবজ্জীবন সাজা হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন । কোভিড অতিমারির কারণে চলতি বছরের ১৭ মে তিনি অস্থায়ী ভাবে (প্যারোলে )জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসেন ।আগামী ১৮ জুলাই রতন শিকদারের ফের প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরে যাওয়ায় কথা ছিল । রঞ্জন শিকদার দাবি করেন ,তাঁর বাবা “টিবি“ রোগের পাশাপাশি ’শ্বাসকষ্টের’ রোগেও ভুগছিলেন ।টিবি রোগের চিকিৎসার জন্যে তার বাবাকে কিছুদিন আগে জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিযে যান ।কিন্তু জেইল কর্তৃপক্ষ রেফার করেনি এই অজুহাত দেখিয়ে জামালপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর বাবার চিকিৎসা করতে চান নি ।রঞ্জন বলেন ,প্রেসিডেন্সি জেইল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপাতি পাঠালে গত শুক্রবার তিনি তাঁর বাবাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়েযান । কিন্তু বুধবার থেকে তাঁর বাবার অসুস্থতা বাড়ে । রঞ্জন জানান ,এদিন বেলায় বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকা কালিনই তাঁর বাবা সংজ্ঞা হারাণ। জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর বাবা রতন শিকদারকে মৃত বলে ঘোষনা করেন ।
জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন ,রতন শিকদার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন । প্যারোলে ছাড়া পেয়ে কিছুদিন আগে তিনি বাদলাগরিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন ।এদিন ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান ।বিডিও বলেন , মহকুমা শাসকের নির্দেশ মত একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে তিনি মৃত ব্যক্তির দেহের সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট )করেন । ইনকোয়েস্ট করার পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানার জন্যে মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্যে পুলিশকে নির্দেল দিয়েছেন বলে বিডিও জানান