দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),৩০ মে : রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার বনকাপাশি গ্রামের এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল । এরপর কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । মামনি মাঝি (২৪) নামে ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । যদিও সোমবার বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,মঙ্গলকোটের কাশেমনগর এলাকার বাসিন্দা লালু মাঝির বড় মেয়ে মামনি । বছর খানেক আগে বনকাপাশি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় জনমজুর অবিনাশ মাঝির সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয় । লালু মাঝির অভিযোগ,’বিয়ের পর থেকেই অকারনে আমার মেয়ের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাত জামাই ও তার পরিবারের লোকজন । জামাই সংসার চালানোর জন্য কোনো খরচখরচা দিত না । এনিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল । শেষে রবিবার রাতে খবর পাই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে । তারপর কাটোয়া হাসপাতালে এসে মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি । তখন আশেপাশে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির কোনো লোকজন ছিল না ।’
জানা গেছে,রবিবার সন্ধ্যেয় মামনি মাঝিকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । কিন্তু চিকিৎসকরা বধুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এদিকে তখন বধুর বাপের বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে চলে আসে । তখন মাস্ক কেনার অছিলায় বধূর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে ছুটে পালায় । যদিও হাসপাতালের ক্যাম্পে থাকা পুলিস কর্মীরা ছুটে গিয়ে তাদের পাকড়াও করে । ঘটনায় জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে ।
তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, প্রথমে ভয় পেয়ে প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে আবার তারা মৃতদেহের কাছে আসে । পাশাপাশি মামনিদেবী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে তারা দাবি করেন । যদিও মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ খুন করা হয়েছে মামনিকে । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।।