এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৮ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে বছর ৪৭-এর এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । মৃতের নাম সনাতন দাস । পেশায় ক্ষৌরকার ওই ব্যক্তির বাড়ি ভাতার থানার ভাটাকুল গ্রামে । সোমবার সনাতনবাবুর বাবা মঙ্গলা দাসের বাড়ি থেতে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ । মঙ্গলা দাস ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পৃথক সংসারে থাকেন । এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী মনিমালা দাস তাঁর শ্বশুর ও সৎ শাশুড়ীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । আজ মঙ্গলবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে,ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলা দাসের প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের মধ্যে বড় সনাতন দাস । দ্বিতীয় বিয়ের পর পৃথক সংসারে থাকেন মঙ্গলাবাবু । এমনকি প্রথম পক্ষের ছেলেদের তিনি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতও করেন বলে অভিযোগ । এদিকে কিছুটা পাশেই ছোট্ট একটি মাটির বাড়িতে স্ত্রী মনিমালাদেবী,এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আলাদাভাবে থাকতেন সনাতনবাবু । একটা সেলুনে কাজ করে অতি কষ্টে তিনি চারজনের সংসার চালাতেন ।
মৃতের স্ত্রী মনিমালাদেবী জানান,তাঁর শ্বশুর প্রথম পক্ষের ছেলেদের সম্পত্তি বঞ্চিত করার তাঁর স্বামী হতাশায় ভুগতেন । সোমবার দুপুরে তাঁর স্বামী ঘর থেকে বেড়িয়ে যান । তারপর বিকেল নাগাদ জানতে পারেন শ্বশুরমশাইয়ের বাড়িতে তাঁর স্বামী মারা গেছেন । সঙ্গে সঙ্গে তিনি শ্বশুরমশাইয়ের বাড়িতে ছুটে যান । গিয়ে দেখেন সেখানে তাঁর স্বামীর নিথর দেহ বাড়ির দাওয়ায় শোয়ানো রয়েছে । তিনি এনিয়ে জিজ্ঞাসা করলে শ্বশুর ও সৎ শাশুড়ী জানান তাঁর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ।
জানা গেছে,এদিকে ঘটনার কথা চাওড় হতেই মঙ্গলা দাসের বাড়িতে লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তারাও সনাতন দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । খবর পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ ভাতার থানা থেকে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে আনে । পুলিশ একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।।

