প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ জুলাই : দামোদরের বাঁধ লাগোয়া ঝোপ জঙ্গল ঘেরা জায়গা থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ।ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমানের কঞ্চননগরের মালিপাড়া এলাকায়। স্থনীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রথম ঘটনাস্থলে পৌছায়।পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।পুলিশ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কাঞ্চননগর মালিপাড়া এলাকার বয়স্ক বাসিন্দা হিমাংশু পাল বলেন,মালিপাড়া বিষেবুড়ির ঢাল এলাকার ঝেপ জঙ্গলের মধ্য থেকে এক মহিলার আধপোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । তিনি বলেন, ‘এলাকার বাসিন্দা বিপদতারণ পরামাণিক এদিন ভোরে তাঁর চাষ জমি থেকে সবজি তুলতে যাওয়ার সময়ে ওই মৃতদেহটি প্রথম দেখতে পেয়ে আঁতকে ওঠেন । তিনিই মৃতদেহের বিষয়ে গ্রামের সবাইকে জানান। গ্রামের সবাই ঘটনাস্থলে পৌছে দেখেন মহিলা তাঁদের এলাকার বাসিন্দা নন । অন্যত্র কোথাও মহিলাকে খুন করে রাতের অন্ধকারে তাঁদের এলাকার ঝোপজঙ্গল ঘেরা জায়গায় মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিপদতারণবাবু ও হিমাংশুবাবুরা ।
এলাকার অপর কয়েকজন বাসিন্দা জানান,মহিলার আধপোড়া মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল তিন প্যাকেট দেশলাই ও দুটি প্ল্যাস্টিক বোতল । পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করেছে বলে এলাকাবাসীরা জানান ।মৃতদেহ দেখে এলাকাবাসীর অনেকের মনে হয়েছে মহিলার গলায় ওড়না জাতীয় কিছু জড়ানো ছিল । মৃতদেহে বালি লেগে থাকা দেখে এলাকার অনেকে আশঙ্কা করছেন হয়তো দুস্কৃতিরা দামোদরের চরেই মহিলাকে খুন করে থাকতে পারে । এই প্রসঙ্গে বিপদতরণ পরামানিক বলেন ,’এলাকার বাসিন্দাদের এমন আশঙ্কা অমূলক নয় বলেই তাঁর মনে হয়েছে । কারণ মানুষকে ধরে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেলে কাঁচা রাস্তায় যেমন ’দাগ’ পড়ে যায় তেমনটাই এদিন সকালে ওই ঝোপের রাস্তায় তিনি দেখতে পায়েছিলেন বলে জানান । কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কোনও মহিলার দেহ রাতের অন্ধকারে পোড়ানো হল কিনা সেই বিষয়টিও মালিপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের ভাবিয়ে তুলেছে ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় বলেন,“কাঞ্চননগরে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতর পরিচয় এখনও জানা যায়নি । তদন্ত শুরু হয়েছে । মৃত্যুর কারণ সবিস্তার খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে মহিলার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ।’।