এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি, ১১ সেপ্টেম্বর : শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের চাপে ৫ জন ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ । বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ১টায় কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে এবং সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । উল্লেখ্য,থ্রেট কালচার নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আন্দোলন চলছে। থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহাকে ঘেরাও করা হয় । টিএমসিপি এর কিছু সদস্যরা ঘেরাও করেছিল বলে জানা গেছে । মাঝরাত অব্দি অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখার পর শেষে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাউন্সিলের বৈঠক বসে । শেষ পর্যন্ত ৫ জন ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয় । আজ দুপুরে ফের কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তোলপাড়ের মাঝেই হাসপাতালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে অমানবিক অত্যাচার, হুমকি ও তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে ৷ সম্প্রতি এনিয়ে সরব হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। ঘটনাকে ঘিরে গত বুধবার ব্যাপক উত্তেজনা হাসপাতালে। টিমসিপির একদল ছাত্রনেতা দিনের পর দিন কোনও অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ফেল করানোর ভয় দেখাত বলে অভিযোগ ওঠে। মেধাবী পড়ুয়ারা ভালো পরীক্ষা দিলেও টিএমসিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত আরজি কর কাণ্ডে চর্চায় আসা চিকিৎসক অভীক দে’কে ও তার দলবলের অঙ্গুলিহেলনে ও অধ্যক্ষ, ডিন ও কিছু চিকিৎসকদের সাহায্যে তাঁদের ক্ষেত্রে নম্বর কেটে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ ।উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি সোমবার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টের পর পাঁচ পড়ুয়াকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে ঘেরাও কর্মসূচী চলে তৃণমূল কংগ্রেসের । পড়ুয়াদের অভিযোগ, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পালটা বক্তব্য শোনা হয়নি। এমনকি অভিযোগের প্রমাণও নেই।।