এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৯ নভেম্বর : বর্তমানে রাজ্য জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) গননা ফর্ম (Enumeration Form) বিতরণের কাজ চলছে । ধরা পড়ার ভয়ে সীমান্ত টপকে দল বেঁধে পালাচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা । যারা এখনো এদেশে ঘাঁটি গেড়ে আছে তারা এসআইআর-এর ভূয়ো নথি জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ । এই আবহে মালদা জেলার রতুয়া থানার সামসী ফাঁড়ির পুলিশ জাল নথি তৈরির একটি চক্রের হদিশ পেয়েছে । উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল নথি । এই চক্রের দুই পান্ডাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতদের নাম আব্দুল খালেক ওরফে বুলেট এবং সারিফ খান ওরফে রাজা। তারা সম্পর্কে কাকা-ভাইপো । ধৃতদের মধ্যে একজন তৃণমূল পরিচালিত চাঁদমুনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসফাতুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। যদিও এনিয়ে মুখ খোলেননি প্রধান ।
জানা গেছে,ধৃত কাকা-ভাইপোর রতুয়া থানার চাঁদমুণি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্ধারু গ্রামে “রাজা কম্পিউটার” নামে একটা দোকান রয়েছে । সেই দোকানেই চলছিল জাল নথি তৈরির কারবার । সামসী ফাঁড়ির পুলিশের কাছে খবর এলে পুলিশের একটি দল দোকানে হানা দেয় । কিন্তু কোনো ভাবে তারা পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে যায় । খবর পেতেই ধূর্ত কাকা-ভাইপো প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র ও সিলমোহর দোকানের পেছনের নয়নজুলিতে ফেলে দেয়। কিন্তু তাতেও তারা পুলিশের নজর এড়াতে পারেনি । পুলিশ নয়নজুলি থেকে সেই সমস্ত জাল নথিপত্র ও সিলমোহর উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট, মার্কশিট, জন্ম শংসাপত্র । রয়েছে সামসী গ্রাম পঞ্চায়েত, চাঁদমুণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত, শ্রীপুর হাইস্কুল, মিলনগড় হাই মাদ্রাসা, বাটনা হাই মাদ্রাসা সহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল । এই বিপুল পরিমান জাল নথির সঙ্গে এসআইআর-এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ । আজ রবিবার ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । পুলিশ তাদের জেরা শুরু করেছে ।।

