এইদিন ওয়েবডেস্ক,অমরাবতী,০৩ জুলাই : বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করে খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর ভেটেরেনারি ফার্মাসিস্ট উমেশ কোলহে(Umesh Kolhe) । আর এই খুনের অন্যতম হোতা আর কেউ নয়,বরঞ্চ উমেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত ইউসুফ খান বাহাদুর খান । ইউসুফ সম্পর্কে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে নিহতের ভাই মহেশ কোলহে বলেন, ‘ইউসুফ ২০০৬ সাল থেকে দাদার “ভাল বন্ধু” ছিলেন । দাদার শেষকৃত্যেও তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ।’
উল্লেখ্য, উদয়পুর ও অমরাবতী এই দুই খুনের তদন্ত করছে এনআইএ । উমেশ কোলহে খুনের মামলায় এযাবৎ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতরা হল খুনের মাস্টারমাইন্ড শেখ ইরফান শেখ রহিমকে(Shaikh Irfan Shaikh Rahim,35 ),ভেটেরেনারি চিকিৎসক ইউসুফ খান বাহাদুর খান(Yusufkan Bahadur Khan, 44),মুদাস্সির আহমেদ(Mudassir Ahmad, 22),শাহরুখ পাঠান(Shah Rukh Pathan, 25),আব্দুল তৌফিক(Abdul Thoufique, 24), শোয়েব খান (Shoaib Khan, 22) এবং আতিব রশিদ (Atib Rashid, 22) । রবিবার মাস্টারমাইন্ড শেখ ইরফান শেখ রহিমকে অমরাবতী আদালতে তোলা হলে ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । অন্যদিকে ইউসুফ খানকে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ।
জানা গেছে,নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করেছিলেন উমেশ কোলেহে । আর সেই পোস্ট নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে উমেশের বিরুদ্ধে জিহদিদের উসকে দিয়েছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত ইউসুফ খান বাহাদুর খান । এরপর ২১ জুন রাতে ৫৪ বছরের কোলহে একটি স্কুটারে চড়ে তাঁর মেডিকেল স্টোর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন । পথে বাইক আরোহী তিনজন তাকে থামিয়ে হত্যা করে । তখন কিছুটা পিছনেই অন্য বাইকে ছিলেন নিহতের ত ছেলে ও স্ত্রী । তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসেও বাঁচাতে পারেননি উমেশ কোলেহেকে ।
অমরাবতীর এসিপি আরতি সিং জানিয়েছেন, ইরফান প্রত্যেক অভিযুক্তকে ১০,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং গাড়িতে করে নিরাপদে পালাতে সাহায্য করেছিলেন । ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন এসিপি । রবিবার অমরাবতীতে পুলিশ আধিকারিকদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল । বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয় ।।