এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিয়েভ,১৫ এপ্রিল : ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর একাধিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে ক্রেমলিনকে । কিন্তু এত কিছু নিষেধাজ্ঞার পরেও নিজেদের স্বার্থে রাশিয়ার কাছ থেকে ভোজ্য ও জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমি দেশগুলোর একাংশ । পশ্চিমি দেশের এই প্রকার ‘ভন্ডামি’তে ক্রুদ্ধ ইউক্রেন । আর সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কথায় ।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমি দেশগুলির উদ্দেশ্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘অন্যের রক্তের টাকায় রাশিয়াকে অর্থ জোগাচ্ছে ইউরোপ ।’ তবে তিনি মূলত জার্মানি ও হাঙ্গেরির দিকে ইশারা করেছেন । কারন এই দুটি দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জ্বালানি তেল বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর অভিযোগ তুলেছেন জেলেনস্কি। উল্লেখ্য, চলতি বছরে জার্মানি ও হাঙ্গেরি মিলে রাশিয়ার কাছ থেকে ৩২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তেল কিনতে চলেছে ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বার্লিনের অবস্থান নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করছেন ইউক্রেনের নেতারা । ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর হামলার পর পশ্চিমি দেশগুলোর দেওয়া কিছু নিষেধাজ্ঞায় সায় বার্লিন। কিন্তু তেল বিক্রিতে কঠোর পদক্ষেপের ক্ষেত্রে তারা বরাবর বিরোধিতা করে আসছে ।
জার্মানিকে কটাক্ষের সুরে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের কিছু মিত্র ও অংশীদার বুঝেছে এটা ভিন্ন এক সময় । এখন টিকে থাকার সময় । তাই ব্যবসা বা অর্থ এখন মূল্যহীন ।’
পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কিছু ইউরোপের দেশ সাহায্য করার চেষ্টা করছে এবং সাহায্য করছে। তবে এসব সাহায্য আরও দ্রুত দরকার। যত দ্রুত হয় ততই ভালো। পারলে এখনই সাহায্য দরকার।’রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, মারিওপোল এবং কিয়েভের বুচা ও বোরোদ্যাঙ্কায় রুশ সেনারা যে নৃশংসতা চালিয়েছে তাতে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে ।
এদিকে রুশ বাহিনী কিয়েভ থেকে সরে গেলেও ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে অভিযান পুনরায় কেন্দ্রীভূত করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন । ফলে ওই সমস্ত এলাকায় রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে ।।