প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২০ মার্চ : প্রার্থীদের নাম ঘোষনার পর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কোথাও কোথাও বিজেপি অফিসে পড়েছে তালা । আবার কোথাও ক্ষেভের আগুন জ্বলতে দেখা গেছে সড়কপথে । কিন্তু এইসব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপি প্রার্থী বিজন মণ্ডলকে নিয়ে খণ্ডঘোষ বিধানসভা এলাকা জুড়ে ছয়লাপ হওয়া কুরুচিকর মন্তব্য লেখা পোস্টার । শনিবার সকাল হতেই কুরুচিকর মন্তব্য লেখা ওই পোস্টার গুলি শরঙ্গা,তোড়কোনা,শঙ্করপুর,গোপীনাথপুর ,বাদুলিয়া, কুকুড়া প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দাদের নজরে আসে ।পোস্টারে বিজন মণ্ডলের ছবির নিচে লেখা থাকা মন্তব্য গুলি নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায় ।এইসব কিছুকে যদিও তৃণমূলের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
বিজেপি প্রার্থী বিজন মণ্ডল পেশায় স্কুল শিক্ষক । দল তাঁকে খণ্ডঘোষ বিধানসভার অবজারভার পদ সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছিল । পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, ’বিজন মণ্ডল খণ্ডঘোষের স্কুলে শিক্ষকতা করলেও খণ্ডঘোষ বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন। রায়না বিধানসভার শ্যামসুন্দরে তাঁর বাড়ি । পোস্টারে বিজন মণ্ডলকে জড়িয়ে মহিলা সম্পর্কিত নানা কুরুচিকর মন্তব্য লিখে তাঁকে বহিরাগত বলে দাবি করা হয়েছে । পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা এর হাতে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে বিজন বাবু প্রার্থী হয়েছেন বলে পোস্টারে দাবি করা হয়েছে ।একই সঙ্গে পোস্টার গুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে খণ্ডঘোষের বিজেপি প্রার্থী ৪০ হাজার ভোটে হারবেন ’। শুধু তাইনয়, বহিরাগত প্রার্থী বিজন মণ্ডলের পরিবর্তে খণ্ডঘোষের ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা এদিন বর্ধমান – বাঁকুড়া রোডের কাঁটাপুকুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায় ।
খণ্ডঘোষের সাধারণ মানুষজন অবশ্য পোস্টারে লেখা মন্তব্যের নিন্দা করছেন । তাঁদের বক্তব্য ,’রাজনীতি দিনের পর দিন কলুশিত হচ্ছে ।আর তারই প্রমাণ প্রকাশ্যে এমন কুরুচিকর মন্তব্য লেখা পোস্টার বলে খণ্ডঘোষের অনেকে মন্তব্য করেছেন’ । প্রার্থী বিজন মণ্ডল অভিযোগ করেছেন , ’এইসব কাজ বিজেপির আদর্শে বিশ্বাসী কেউ করতে পারে না । পি কে-র পরামর্শে তৃণমূলের লোকজন ওইসব পোস্টার মেরে তাঁর ও দলের নেতৃত্বের বদনাম করতে চাইছে । তবে এইসব করে কিছু লাভ হবে না । খণ্ডঘোষের মানুষ ভোটে এর যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে’।
বিজন মণ্ডলের বক্তব্যের বিরোধীতা করে খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অপার্থীব ইসলাম বলেন ,’সবেতে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোটা বিজেপির কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
কিন্তু তৃণমূল এই নোংরা পোস্টার কালচারে বিশ্বাস করে না । বিজনবাবু নিজে খুব ভালো ভাবেই জানেন খণ্ডঘোষে ওনার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী কারা করে । সেটা আড়াল করতে বিজনবাবু তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ’সিমপ্যাথি’ ভোট পাওয়ার কৌশল নিয়েছেন । তবে খণ্ডঘোষের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানই করবেন ।’।