এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),৩১ জুলাই : নিজের মামির প্রতি ‘কুনজর’ ! আর তার প্রতিবাদ করায় ওই বধূর উপর অ্যাসিড হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ভাগনে ও ননদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার ঝামটপুর বহরান গ্রামে । এই ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোপাল দাস ও চন্দনা দাস । ধৃত চন্দনাদেবী বধূর ননদ বা গোপালের মা । রবিবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতারের পর আজ সোমবার কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে পাঠানো হয় । জানা গেছে, ধৃত চন্দনা দাস আক্রান্ত বধূর স্বামীর সম্পর্কে নিজের দিদি । পাশাপাশি বাড়িতে তিনি বসবাস করেন । ওই যুবকের এই প্রকার কদর্য মানসিকতায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা ।
জানা গেছে,ঝামটপুর বহরান গ্রামের বাসিন্দা আক্রান্ত বধূর স্বামী পেশায় ট্রাকটর চালক । ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার । ওই দিন মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন বধূর স্বামী । বাড়িতে একাই ছিলেন বধূ । সেই সূযোগে বধূর প্রতিবেশী চন্দনা দাসের ছেলে গোপাল তাদের বাড়িতে যায় । বধূর অভিযোগ,একা পেয়ে গোপাল তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করে । তিনি ভাগ্নের কুমতলব বুঝতে পেরে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করেন ।
আক্রান্ত বধূ জানান, পরের দিন মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তাঁর স্বামী । তিনি স্বামীকে ঘটনার কথা খুলে বলেন । তারপর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করতে ননদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি । সেই সময় গোপাল ও তার মা মিলে তাঁর দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ বধূর ।
জানা গেছে,অ্যাসিড হামলায় বধূর শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায় । এরপর দ্রুত তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পরে এনিয়ে কাটোয়া থানায় ভাগনে ও দিদির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিনই অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
আক্রান্ত বধূর স্বামী এদিন বলেন,’নিজের ভাগনা যে এমন নোংরা আচরণ করতে পারে তা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করিনি । দিদিকে ভাগনার বিষয়ে কিছু বলতে গেলে আমার স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার পরামর্শ দিত । বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি ।’।