দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৯ মার্চ : পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণে বের হলেন নদীয়ার দুই যুবক । রবিবার নদীয়া থেকে পায়ে হেঁটে সোজা কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরে চলে আসেন দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু বিশ্বজিৎ দাস ও কৈলাশ সরকার নামে দুই যুবক । গোপীনাথকে দর্শনের পর ফের শুরু করেন তাঁদের যাত্রা । দুই যুবক জানিয়েছেন, প্রায় দেড় হাজার কিমি পথ পাড়ি দেবেন তাঁরা । পথে ছড়িয়ে দেবেন বিশ্ব শান্তির বার্তা ।
বিশ্বজিৎ দাস ও কৈলাশ সরকার জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নদীয়া জেলার মদনপুরের গোবিন্দনগরে৷ ৷ বিশ্বজিৎরা দু’ভাই । সে ছোট । তাদের বাবা হারাধন দাস পেশায় কাঠমিস্ত্রী । মা সবিতা দাস গৃহবধূ । উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি পেড়িয়ে অর্থাভাবে আর পড়াশোনা হয়নি বিশ্বজিতের । একই রকম হতদরিদ্র পরিবার কৈলাশেরও । তাঁর বাবা কমল সরকার ওষুধের গাড়িতে খালাসির কাজ করেন ৷ তাতেই অতিকষ্টে সংসার চালান তিনি । পারিবারিক অভাবে পড়াশোনা বেশি দূর এগোয়নি কৈলাশের ।
দুই বন্ধু জানান,তারা আড্ডা দেওয়ার সময় নিজের দেশটাকে ঘুরে দেখার বিষয়ে প্রায়ই আলোচনা করতেন ৷ পাশাপাশি নদীয়ার মত আধ্যাত্মিক পরিমন্ডলে জন্ম হওয়ায় ছোট থেকেই তাঁরা ধর্ম চর্চা শুনে আসছেন । তখন থেকেই দুই বন্ধু সংকল্প করেন সুযোগ পেলেই দেশের তীর্থস্থাগুলি ঘুরে দেখবেন । কিন্তু পারিবারিক অর্থাভাবের কারনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছিল । তাই পায়ে হেঁটেই ভারত ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দু’জনে ।
দুই যুবকের কাছ থেকে জানা গেছে,শুক্রবার তাঁরা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সোজা মায়াপুর চলে যান । সেখানে তীর্থস্থানগুলি ঘুরে দেখার পর এদিন তারা চলে আসেন কাটোয়ায় । কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে ভগবান গোপীনাথকে প্রণাম করে তাঁরা বীরভূমের তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা হন । তাঁরা জানান, মা তারার দর্শন করে তাঁরা প্রথমে অযোধ্যার রামমন্দির দর্শন করবেন । সেখান থেকে বৃন্দাবনে শেষ করবেন যাত্রা । দুই যুবকের অভিনব এই উদ্যোগ ও মনোবলের প্রশংসা করেছেন কাটোয়ার বাসিন্দারা ৷।