এইদিন ওয়েবডেস্ক,চাঁচল,১২ ডিসেম্বর : অনার্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন । শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচল-২ ব্লকের মালতিপুর এলাকায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চাঁচল থানার পুলিশ গিয়ে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সংঘর্ষে দুইপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে । যদিও এনিয়ে মুখ খোলেনি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ।
জানা গেছে,মালদা জেলার যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আমানত সরকার চাঁচল কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করেন । তাঁর বিরুদ্ধে চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি মহম্মদ রিজওয়ানসহ তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন অভিযোগ তুলেছেন,অনার্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ছাত্র ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন আমানত সরকার । এনিয়ে কিছুদিন ধরে রিজওয়ান ও আমানত গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর চলছিল । শনিবার রাতে তা চরম আকার ধারন করে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,শনিবার রাতে মালতিপুর স্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় দু’পক্ষের মধ্যে এনিয়ে প্রথমে বচসা শুরু হয় । ক্রমে তা সংঘর্ষের আকার নেয় । দু’পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হলে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিনত হয়ে যায় গোটা এলাকা । দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয় । শেষে পুলিশ এসে উভয়পক্ষের লোকজনদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিরস্ত্র করে ।
মহম্মদ রিজওয়ানের অনুগামী ছাত্রনেতা রহিম বলেন, ‘কলেজে ভর্তির নাম করে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন আমানত সরকার । মহম্মদ রিজওয়ান তার প্রতিবাদ করেছিল বলে আমানত দলবল নিয়ে ওর উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে । রিজওয়ানের মাথা ফেটে যায় । আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও ওরা মারধর করে ।’
অন্যদিকে আমানত সরকার বলেন, ‘রিজওয়ান দলের কোনও পদেই নেই । এমনকি কলেজের স্টুডেন্টও নয় । আমার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অনার্স করে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে সেটা একদম ভিত্তিহীন অভিযোগ । যদি আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষকের কাছে অভিযোগ জানাক । কলেজ তদন্ত করে দেখুক । আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রমান করুক ওরা ।’ পাশাপাশি তিনি মহম্মদ রিজওয়ানদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শনিবার মালতিপুর স্ট্যান্ডে আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে চায়ের দোকানে বসেছিলাম । তখন অন্য একটা প্রসঙ্গ নিয়ে তর্কাতর্কি হয় । মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি । সেই সময় জেলা নেতৃত্বের একাংশও সেখানে উপস্থিত ছিলেন । মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘুরে বেড়ালে মিথ্যাকে সত্যি বলে প্রমানিত করা যায়না ।’।