এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,২২ মে : জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই সন্ত্রাসী নিকেশ হয়েছে। সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস জানিয়েছে যে ২২ মে সকাল থেকে কিশতোয়ারের সিংপোরা এলাকার ছত্রু গ্রামে এই সংঘর্ষ চলছে। খবর অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী ৩-৪ জন সন্ত্রাসীকে ঘিরে ফেলে । এই সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুজন খতম হয়েছে। তবে, সেনাবাহিনীরও ক্ষতি হয়েছে। খবর আছে যে সংঘর্ষে একজন সৈন্য শহীদ হয়েছেন।
বর্তমানে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। সন্ত্রাসীরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য অতিরিক্ত বাহিনীও ডাকা হয়েছে। এই অভিযানটি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ২টি প্যারা স্পেশাল ফোর্স, ১১টি রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, ৭টি আসাম রাইফেলস এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) যৌথভাবে পরিচালনা করছে। সূত্রের খবর, এই সন্ত্রাসীরা জইশ-ই-মহম্মদের সাথে যুক্ত থাকতে পারে। জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের পুলিশ তাদের নাম ও ছবি প্রকাশ্যে এনেছে । ওই সন্ত্রাসীরা হল সঈফুল্লাহ, ফারমান,আদিল এবং চতুর্থজনকে বাসা বলে অনুমান করছে পুলিশ । তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা করে ধার্য্য করা হয়েছে ।
কিস্তওয়ার জম্মু ও কাশ্মীরের একটি শহর যা সম্পূর্ণরূপে পাহাড় এবং ঘন বন দ্বারা বেষ্টিত । তার মধ্যে ছত্রু গ্রামে সংঘর্ষ চলছে, কিস্তওয়ারের উপকণ্ঠে পড়ে এই গ্রাম । ছত্রু হল পাহাড় এবং বন দ্বারা বেষ্টিত একটি স্থান, যা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কিছু দূরে অবস্থিত। শহর এলাকায় সর্বদা নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকে কিন্তু বনের কারণে এখানে সর্বদা নজরদারি করা সম্ভব হয় না। সন্ত্রাসীরা এর সুযোগ নেয় এবং এখানকার পাহাড়ি জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে। আর সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেলেই আক্রমণ করে। তবে, সেনাবাহিনীর নিজস্ব তথ্য ব্যবস্থা এবং তথ্যদাতাও রয়েছে । সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য এবং ইলেকট্রনিক নজরদারির সুবিধাও রয়েছে। এছাড়াও, সাধারণ মানুষ কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে অবহিত করে। এই কারণেই ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাসীরা ধরা পড়ছে এবং খতম হচ্ছে।।

