দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান), ১৭ সেপ্টেম্বর : পূূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা চঞ্চল বক্সিকে খুনের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ২ জন সুপারি কিলারদের হদিশ পেল আউশগ্রাম থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত দুই দুষ্কৃতির নাম মহম্মদ পাপ্পু ও মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে পিন্টু । তাদের বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার মির্জাপুর এলাকার বর্ধা গ্রামে । তারা পেশাদার শ্যুটার ও অস্ত্র কারবারে যুক্ত । কাজ সেরে তারা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকায় গাঢাকা দিয়েছিল । মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে পুলিশ তাদের হদিশ পায় । তারপর সেখানে হানা দিয়ে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় জামতাড়ায় একটি বাড়ি ওই দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ । শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সি । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দলীয় নেতাকর্মীরাই এই খুনের ঘটনায় জড়িত । পঞ্চায়েতের টেণ্ডার ও এলাকার কাজকর্মের ওপর কর্তৃত্ব নিয়ে সংঘাতের জেরেই চঞ্চল বক্সিকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে । পুলিশ দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের সদস্য আসানুর মণ্ডল,পঞ্চায়েত সদস্য মনির হোসেন মোল্লা ও তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চল সভাপতির ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে । পরে আসানুরের ডানহাত বলে পরিচিত আয়ূব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই দুষ্কৃতি মহম্মদ পাপ্পু ও মহম্মদ ইমতিয়াজের জানতে পারে পুলিশ । শেষে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকা থেকে ওই দু’জন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় ।
ধৃত ২ দুষ্কৃতিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে খুনের কাজে তারা অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ।ধৃত তৃণমূল নেতা আসানুর মণ্ডল সুপারিকিলারদের সঙ্গে খুনের জন্য ৬ লক্ষ টাকা রফা করেছিল । তার মধ্যে আসানুর তাদের ৭৫ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছে । বাকি টাকা বকেয়া আছে । জানা গেছে, পুলিশি জেরায় ধৃত মহম্মদ পাপ্পু ও ইমতিয়াজ জানিয়েছে ঘটনার দিন চারজন সুপারিকিলার আউশগ্রামে এসেছিল । তারপর তারা কাজ হাসিল করে বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় । বিহারের দুই দুষ্কৃতিকে জেরা করে বাকি সুপারিকিলারদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ ।।