এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১৭ জানুয়ারী : কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেটের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (AMU) এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড । টাইমস অ্যালজেবরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ডিজি এটিএস প্রশান্ত কুমার বলেছেন যে ধৃত ফয়জান (Faizan) আইএসআইএসের একটি মডিউল তৈরি করছিল এবং এতে অন্যান্য লোককে যুক্ত করছিল ৷
সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্র আবদুল্লাহ আরসালান, মাজ বিন তারাকি এবং ওয়াজিদুদ্দিনের সঙ্গে ফাইজানের সম্পর্ক ছিল ।’ ডিজি এটিএস প্রশান্ত কুমার বলেছেন যে ফাইজান এবং তার সহযোগীরা উত্তর প্রদেশে হামলা চালানোর জন্য তাদের প্রভুদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল ।
তদন্তকারী দল আরও জানতে পেরেছে যে ফাইজান এবং তার সহযোগীরা শুধুমাত্র একটি বড় অপরাধ করার পরিকল্পনাই করছিল না বরং এই উদ্দেশ্যে তারা একটি নতুন দলও গঠন করছিল ৷ ফাইজানের উপর ২৫,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ এবং দীর্ঘদিন ধরে সে এটিএসের রাডারে ছিল ৷
দ্য বেস্ট নিউজ চ্যানেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফয়জানকে গ্রেফতারির আগে সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএস দ্বারা অনুপ্রাণিত মডিউল স্থাপনের পরিকল্পনাকারী ২২ এবং ২৫ বছর বয়সী দুই পড়ুয়াকে নিজেদের হেফাজতে নেয় উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড । এটিএস জানিয়েছেন, এএমইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র প্রয়াগরাজের আমাস আহমেদ ওরফে ফারাজ আহমেদকে গত সপ্তাহের সোমবার আলিগড়ে অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) দল গ্রেপ্তার করেছিল । যখন এএমইউ থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স ডিগ্রি (এমএসডব্লিউ) করা সম্বলের বাসিন্দা আবদুল সামাদ মালিক নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে ।
এটিএস বলেছে যে তারা আইএসআইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শপথ নিয়েছে এবং একটি “খিলাফত” প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল । তাদের দুজনেরই প্রত্যেকে উপর ২৫,০০০ টাকা করে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ।
জারি করা এক বিবৃতিতে পুলিশের মহাপরিচালক (আইন শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেছেন যে গত বছর এই মামলায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং এটিএস ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে নভেম্বরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে । গত বছর নভেম্বরে, এটিএস আইএসআইএস-এর আলিগড় মডিউলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা হল আবদুল্লাহ আরসালান, মাজ বিন তারিক এবং ওয়াজিহুদ্দিন ।।