এইদিন ওয়েবডেস্ক,শেরপুর(বাংলাদেশ),১১ মে : আসামী ধরতে গিয়েছিলেন এক সাব ইন্সপেক্টরসহ কয়েকজন পুলিশকর্মী । কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি । আসামির বাড়িতে ঢুকতেই পরিবারের মহিলারা ওই দুই পুলিশ কর্মীর উপর চড়াও তাঁদের শরীরে দাঁত বসিয়ে দিতে শুরু করে । কোনোভাবে নিজেদের ছাড়িয়ে থানায় ফোন করে দেন আহত দুই পুলিশকর্মী । শেষে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার অন্তর্গত ভেলুয়া ইউনিয়নের ঢনঢনিয়া গ্রামে । আহত এসআই সাইফুল মালেক ও দেলোয়ার হোসেন নামে অপর এক পুলিশ সদস্য বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এই ঘটনায় মমতা বেগম (২৮),মর্জিনা বেগম ( ২৫) এবং আব্দুর রহমান (৪৫) নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলার আসামী আব্দুর রহমানের ছেলে রাসেল । সম্প্রতি তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত । তাই তাকে ধরতে এসআই সাইফুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী মঙ্গলবার রাত্রি প্রায় ১১ টা নাগাদ ঢনঢনিয়া গ্রামে আব্দুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিল । সাইফুল মালেক প্রথমে অভিযুক্তকে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসতে বলে । কিন্তু সে বাইরে না আসায় তিনি পুলিশকর্মী দেলোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে যান । আর তখনই আব্দুর রহমানের বাড়ির মহিলারা পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা করে দেয় । দুই পুলিশ কর্মীকে ধরে তাঁদের শরীরে দাঁত বসিয়ে দিতে শুরু করে মহিলারা । পরে আহত দুই পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।
এই ঘটনায় প্রায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় । অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদান,হামলাসহ একাধিক ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে । রাতেই দুই মহিলাসহ ৩ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ । বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয় ।শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে ।।