প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ জুলাই : রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপর হামলা ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল পাঁচ জন । বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ওই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতদের নাম মহিউদ্দিন বড়া,শেখ আজহার উদ্দিন,সাদ্দাম মণ্ডল, সাহেব শেখ ও বংশী বয়রা। এরা মন্তেশ্বরের কুলুট , দিগনগর,কুসুমগ্রাম, মণ্ডলপাড়া প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দা। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার পাঁচ ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃত মহিরুদ্দিন বড়া ও শেখ আজহার উদ্দিনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতরা যদিও নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা এলাকা মন্তেশ্বরে আক্রান্ত হন।মন্ত্রীকে ঝাঁটা ,জুতো ও কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি বহু বিক্ষুব্ধ মানুষজন মন্তী মশাইয়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় । ঘটনার পর মন্ত্রী সিন্দিকুল্লা চৌধুরী অভিযোগ করেন পুলিশের সামনেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। তাঁকে ’খুনের’ ছক কষা হয়েছিল।গোটা ঘটনার দায় মন্তেশ্বরের দোর্দন্ড প্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোশেন শেখের উপরেই চাপিয়ে ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ।যদিও মন্ত্রী মশাইয়ের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ অ্যাকশনে নেমে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলেও ওই বাহুবলী তৃণমূলী নেতা বহাল তবিয়তেই রয়ে আছেন।
নিজের বিধানসভা এলাকায় আক্রন্ত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ছুটে যান জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাসের কাছে।পুলিশ সুপারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন,এত বড় ঘটনার পর দল যদি কোন ব্যবস্থা না নেয় , তবে তিনি দল ছেড়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।পাশাপাশি হামলার ঘটনার জন্য তিনি মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেনকে দায়ী করেন। পরিকল্পনা করে তাঁক ‘খুনের’ চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দাবী করেন। শুক্রবার অবশ্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আর দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার কথা শুনিয়েছেন। এসবের মধ্যেই শুক্রবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন , মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আক্রান্ত হয়েছেন কিনা আমি যানি না। এমনটা হয়ে থাকলে দলের উচ্চ নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে।।

