প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ মে : রেল যাত্রীদের বেহুশ করে দিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা ও দামি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে পালালো দুস্কৃতিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কামরূপ এক্সপ্রেসে। চিকিৎসার জন্য ওই রেল যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,চিকিৎসাধীন রেল যাত্রীরা হলেন উদয়শংকর বণিক ও বাহারুল ইসলাম । এদের মধ্যে উদয়শঙ্কর উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির বাসিন্দা।আপর রেলযাত্রী বাহারুল ইসলামের বাড়ি অসামের শালমারা গ্রামে। কালনা জিআরপি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
চিকিৎসাধীন রেল যাত্রীদের সহযাত্রী সিরাজুল হক জানিয়েছেন,বুধবার ভোরে কালনা স্টেশনে পৌঁছায় ১৫৯৬০ কামরূপ এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরই এস- ১০ নম্বর কামরার যাত্রী ছিলেন ধুপগুড়ি নিবাসী পেশায় আলু ব্যবসায়ী উদয়শঙ্কর বণিক ও অসমের বাহারুল। একই কামরায় তাদের থেকে কিছুটা দূরের সিটের যাত্রী ছিলেন সিরাজুল হক । কালনা স্টেশনে নেমে সিরাজুল ও উদয় শংকর ও বাহারুলের নদীয়ার হাঁসখালিতে যাওয়ার কথা ছিল। সিরাজুল বলেন ,কামরুপ এক্সপ্রেস কালনা স্টেশনে ঢোকার আগে তিনি উদয়শংকর ও বাহারুলকে ডাকাডাকি করেন । কিন্তু তাঁরা সাড়া দেন না । সিটেই বেহুশ হয়ে তাঁরা পড়ে ছিলেন ।সিরাজুল জানান,এরপর তিনি উদয়শঙ্কর ও বাহারুলকে কোনরকমে ট্রেনের কামরা থেকে স্টেশনে নামান । সেখান থেকে দু’জনকে টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে কালনা মহকুমা হসপিতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সিরাজুলের দাবি,ট্রেনে থাকা কোন দুস্কৃতি হয় মাদক মেশানো কোন খাবার খাইয়ে দিয়ে নতুবা অন্য কোন ভাবে উদয়শংকর ও বাহারুলকে বেহুশ করে দেয়।তার পর তাঁদের কাছে থাকা তিনটি মোবাইল ও টাকাপয়সা নিয়ে ওই দুস্কৃতিরা চম্পট দিয়েছে ।এখনও পর্যন্ত ঘোরের মধ্যেই রয়েছেন উদয় এবং বাহারুল বলে সহযাত্রী সিরাজুল জানিয়েছেন।
এদিন হাসপাতালে ঘোরের মধ্যেই উদয়শঙ্কর বণিক জানান,আমাদের কী হয়েছিল বুঝতে পারছি না। ঘুম চোখ খুলে দেখি এখানে আছি। আমার মোবাইল এবং বেশ কিছু টাকা পয়সা কিছুই আর পাচ্ছি না। কালনার জিআরপি ওসি ইকবালুর রহমান বলেন, ‘কি ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে । এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রেল যাত্রীদের কেউ জিআরপিতে কোন অভিযোগ জানান নি।অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’।