প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,পূর্ব বর্ধমান,০১ জুলাই : পেশায় রাঁধুনি স্বামীর অনুপস্থির সুযোগে দুই পুরুষের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন গৃহবধূ ৷ আর সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই নির্মমভাবে খুন হতে হয় তাকে । পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা চক্রবর্তী (৩৮) নামে এক বধূর শনিবার রাত নিজের শোবার ঘরে গলার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর তার দুই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতরা হল জামালপুরের মশাগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শেখ ইব্রাহিম এবং মেমারির দেবীপুর এলাকার বাসিন্দা তপন দাস । রবিবার রাতে মেমারি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় । আজ সোমবার দুপুরে ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পাঠায় পুলিশ ।
মেমারি থানার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা চক্রবর্তীর স্বামী হৃদয় চক্রবর্তী রাঁধুনির কাজ করেন । রান্নার কাজে প্রায় দিনই রাতে বাড়িতে থাকতে পারেন না । নিঃসন্তান প্রতিমাদেবী বাড়িতে একাই থাকতেন । শনিবার রাতেও বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি । মেমারির সুলতানপুর গ্রামের চকদিঘিমোড়ে প্রতিমাদেবীর বোনের দোকান রয়েছে ।শনিবার রাত প্রায় ৮ টা নাগাদ তিনি বোনের দোকানে যান । কিছু পরেই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন৷ তারপর রাত্রি প্রায় ১০ টা নাগাদ দিদির খবর নিতে যান প্রতিমাদেবীর বোন । কিন্তু তিনি দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ । ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি দরজা খুলতেই দেখেন রক্তে ভেসে গেছে গোটা ঘর । বিছানায় পড়ে রয়েছে তার দিদির গলার নলিকাটা মৃতদেহ । এরপর তিনি চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করে ৷ পরে খবর পেয়ে বধূর রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় মেমারি থানার পুলিশ ।
জানা গেছে, বিগত ১০ বছর ধরে শেখ ইব্রাহিমের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক ছিল প্রতিমা চক্রবর্তীর । মাস কয়েক আগে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে এলে তার সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে প্রতিমা । দুই প্রেমিকের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিলেন তিনি । কিন্তু সম্প্রতি ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রতিমার সম্পর্কের কথা জানতে পারে তপন । এনিয়ে প্রতিমার সঙ্গে তার অশান্তি চলছিল । তপন রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিমার বাড়িতে যায় ৷ সেখানে ইব্রাহিমের সঙ্গে তাকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখতে পায় । তখনই ওই বধূকে গলার নলি কেটে খুন করা হয় ৷ পুলিশ ধৃত দুই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।।