এইদিন ওয়েবডেস্ক,স্টকহোম,১৯ ডিসেম্বর : চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সুইডেনের স্টকহোম এবং মেরিহ্যামনের মধ্যে ২৪ ঘন্টার ক্রুজ জাহাজ চলাকালীন একজন তরুনীকে গনধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল । দুই ধর্ষক ইরাকি নাগরিক । তাদের নাম মাজিন আল-শারশ(৩৬) ও আকর বাজোরানি (৩২) । তারা তরুনীকে চুল ধরে টানতে টানতে জাহাজের একটা কেবিনে নিয়ে যায় । তারপর ৪ ঘন্টা ধরে দফায় দফায় তারা তরুনীকে গনধর্ষণ করে । শুধু তাইই নয়,পাশবিক অত্যাচার চালানো পর দুই নরপশু নির্যাতিতার গায়ে থুতু ছেটায় এবং প্রস্রাব করে দেয় । মানবতাকে লজ্জিত করার মত এই অপরাধের পরেও সুইডেনের কথিত ‘সেকুলার’ আদালত দুই ইরাকি ধর্ষককে সুইডিশ সমাজে একত্রিত করার নির্দেশ দিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরের নির্বাসন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে । অবশ্য মাজিন আল-শারশকে ৬ বছর এবং আকর বাজোরানিকে ৫ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে স্টকহোম ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ।
আদালত দেখেছে যে এই ইরাকি জুটি সাজা শুনানির সময় “বিশেষ বেপরোয়া এবং বর্বরতার সাথে আচরণ করেছিল”। পাবলিক প্রসিকিউটর তাদের সাজা ভোগ করার পর বিদেশী গণধর্ষকদের নির্বাসনের আদেশের জন্য চাপ দিয়েছিলেন, তবে আদালত তার সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বলা হয়েছে যে আল-শারশ ২০২৮ সালে ইরাক থেকে সুইডেনে এসেছিল, সে ২০২১ সালে সুইডিশ নাগরিক হয়েছিল এবং তাই তাকে নির্বাসন করা উপযুক্ত হবে না। তার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও, আল-শারশ বিচারের সময় তাকে সহায়তা করার জন্য একজন আরবি অনুবাদকের প্রয়োজন হয়েছিল । কারন সে আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে সক্ষম নয় ।
অন্যদিকে পেশায় ট্যাক্সি চালক বাজোরানি ২০০৮ সালে কিশোর বয়সে ইরাক থেকে সুইডেনে এসেছিল কিন্তু সে সুইডিশ নাগরিক নয়ন। তবুও আদালত তাকে সুইডিশ সমাজে “একীভূত” বলে মনে করেছে কারণ তার দুটি সন্তান রয়েছে যারা সুইডিশ নাগরিক এবং তার তৃতীয় সন্তানের জন্ম হতে চলেছে । তবে ওই ধর্ষক সুইডিশ ভাষায়ও দক্ষ ।।