এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২১ জুন : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার কাঁকুরহাটির কাছে অজয় নদে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণীর দুই পড়ুয়া । নিখোঁজ দুই কিশোরের নাম আয়ান আহমেদ (১৫) ও মহম্মদ তাহমিদ নূর (১৫)। তাদের বাড়ি কাটোয়া শহরে। আজ বিকেলে এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ । খবর দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগে । যদিও রাতের অন্ধকারের মধ্যে আজ তল্লাশি চালানো হবে কিনা তা স্পষ্ট নয় ।
জানা গেছে,আয়ান আহমেদ কাটোয়া শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। অপরদিকে মহম্মদ তাহমিদ নূর মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগে আল আমিন মিশনে পড়াশোনা করে । আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ দু’জনে স্কুটিতে চড়ে কাটোয়া থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে কেতুগ্রামের কাঁকুরহাটিতে আসে।সড়কপথের ধারে স্কুটি রেখে হাঁটতে হাঁটতে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে অজয়নদের ধারে চলে আসে তারা । তারা যখন অজয় নদীর ধারে আসে তখন ঘাটে লোকজন ছিল না। ঘাটের কাছে লাগানো ছিল একটি মাছ ধরার ছোট ডিঙ্গি। দুই কিশোর তাদের ব্যাগ ও মোবাইল ফোনদুটি ওই ডিঙিতেই রেখে নদীতে নামে স্নান করতে । তার অব্যবহিত পরেই নদীর জলের স্রোতে তলিয়ে যায় তারা৷
জানা গেছে,স্থানীয় এক ব্যক্তি নদী ঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ডিঙির উপর রাখা দুই কিশোরের মোবাইলে ক্রমাগত রিং বাজছে দেখে সন্দেহ হয় তার । তিনি গ্রামে ফিরে এসে বিষয়টি জানালে বেশ কিছু লোকজন নদী ঘাটে এসে জড়ো হয় । তারপর গ্রামবাসীরা ফোন রিসিভ করে বুঝতে পারে কিশোরদের বাড়ি থেকে কল করা হচ্ছে । তারা সমগ্র বিষয়টি কিশোরদের পরিবারের কাছে খুলে বলে । পাশাপাশি কেতুগ্রাম থানায় খবর দেয় গ্রামবাসীরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশবাহিনী । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে কিশোরদের পরিবার । জানা গেছে,মহম্মদ তাহমিদ নূরের বাবা ফিরোজ শেখ পুলিশে চাকরি করেন। বাবা মায়ের একমাত্র পুত্র সে । স্থানীয়দের অনুমান মোবাইল ফোনে রিলস তৈরির সময় স্রোতের টানে তলিয়ে গেছে দুই কিশোর ৷।

