এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান) জানুয়ারী ঃ কাটোয়ার মুস্থুলিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভা থেকে ফেরার পরেই আক্রান্ত হল মঙ্গলকোটের দুই বিজেপি কর্মী । শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোট থানার লাখুটিয়া অঞ্চলের আমডোব-চাকদা এলাকায় । আহত দুই বিজেপি কর্মীর নাম স্বপন গড়াই ও জিতেন গড়াই । অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যা নাগাদ এলাকায় ঢুকতেই জনা চারেক তৃণমূল কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে বেদম মারধর করে । লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন ওই দুই বিজেপি কর্মী। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় । তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় । যদিও এদিন রাত পর্যন্ত এনিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,এদিন সকাল কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে বিজেপির জনসভা ছিল । বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছাড়াও রাজ্য ও কেন্দ্রের একাধিক নেতা ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন । লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয় ওই সভায় । পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য গাড়ি করে বিজেপি কর্মীরা মুস্থুলি গ্রামে গিয়েছিলেন ।
মঙ্গলকোট ব্লকে বিজেপির ৪৯ নম্বর জেডপি মন্ডলের সভাপতি সমীর দাস বলেন, ‘লাখুড়িয়া অঞ্চলের আমডোব গ্রামের ৫২ নম্বর বুথ থেকে একটি ছোট হাতি গাড়ি করে আমাদের দলের জনা দশেক কর্মী গিয়েছিলেন মুস্থুলিতে । সন্ধ্যা নাগাদ গাড়িটি ফিরে আসে । আমডোব-চাগদায় গাড়িটি এলে স্বপন গড়াই ও জিতেন গড়াইকে নামিয়ে দেওয়া হয় । সেই সময় ওখানে জনা চারেক তৃণমূল কর্মী জড়ো হয়ে ছিল । তারা বিনা প্ররোচনায় আমাদের দলের ওই দুই কর্মীর উপর লাঠি-সোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৷ তাঁদের বেদম মারধর করা হয় । লাঠির আঘাতে স্বপনের ডান হাত ভেঙে যায় । জিতেন ডান হাত ও ডান কানে চোট পায় । দু’জনকেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আজ নাড্ডাজীর সভায় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল । মঙ্গলকোট থেকেও প্রচুর মানুষ মুস্থুলি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই ভিড় দেখে ভয় পেয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা আমাদের দুই কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছি । বিষয়টি মৌখিকভাবে মঙ্গলকোট থানায় জানানো হয়েছে । রবিবার এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে । আমাদের দাবি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুক পুলিশ ।’অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ।।