এইদিন ওয়েবডেস্ক,০১ আগস্ট : ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসপন্থী কাতারের সংবাদ মাধ্যম আল- জাজিরার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে প্রত্যক্ষ মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলে ইসরায়েল । হামাস সন্ত্রাসীদের সাথে আল-জাজিরার সাংবাদিকদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বহুবার প্রমানও দিয়েছে ওই ইহুদি রাষ্ট্রটি । একারনে ইসরায়েলে ওই সংবাদ মাধ্যমের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের অভিযানের সময় ইতিমধ্যে আল-জাজিরার কয়েকজন সাংবাদিকদের মৃত্যুও হয়েছে । ফের একবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আল জাজিরার দুই সাংবাদিক। বুধবার (৩১ জুলাই) গাজার আল শাতি ক্যাম্পে লুকিয়ে থাকা হামাস সন্ত্রাসীদের উপর ইসরায়েলের বিমান বাহিনী বোমা বর্ষণ করলে ওই দুই সাংবাদিকের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে । মিডল ইস্টমনিটর ও আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহত দুই সাংবাদিক হলেন রিপোর্টার ইসমাইল আলঘোল এবং ক্যামেরাম্যান রামি আল রিফি।
যদিও খবরে বলা হয়, আল জাজিরা অ্যারাবিকের হয়ে কাজ করা এই দুই সাংবাদিক বুধবার সকালে নিহত হওয়া হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার গাজার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা হানিয়ার বিধ্বস্ত বাড়ির পাশ থেকে খবর প্রচার করেন। এরপর ফিরে আসার সময় তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে তারা উভয়ে নিহত হন। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আল-জাজিরা অ্যারাবিকের ম্যানেজার মোহাম্মদ মুয়াজ বলেন, চলমান লড়াইয়ে তাদের ক্রুদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে, কারণ তারা সাহসিকতার সঙ্গে গাজার চিত্র তুলে আনছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, সাংবাদিক ইসমাইল গাজায় ইসরায়েলি হামলার ও গণহত্যার ভয়ংকর চিত্রটি তুলে আনছিলেন। তার সেই কণ্ঠকেই এখন রুদ্ধ করা হয়েছে। ইসমাইল তার মাতৃভূমি ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব করেছেন।
ইসমাইলের একজন সহকর্মী রাওয়া আউগে বলেন, ইসমাইল ও তার সঙ্গী টার্গেটেড ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল সাংবাদিকদের সরাসরি টার্গেট করার সত্ত্বেও তিনি আজ অবধি রিপোর্টিং চালিয়ে যাওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গত মার্চে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে ১২ ঘণ্টা আটকে রেখে মারাত্মকভাবে আহত করেছিল।
প্রসঙ্গত,১০ মাসের বেশি সময় ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিক মারা গেছেন ১২০ জনের মতো।।