এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,১৯ মে : তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগানের বিরুদ্ধে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে ১০ মিলিয়ন শরণার্থী আমদানির অভিযোগ তুলেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু । রিপাবলিকান পিপলস পার্টির সদর দফতরে দলীয় সদস্যদের সাথে কথা বলার সময় এরদোগানের অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করেন তিনি । কামাল কিলিকদারোগ্লু বলেন,’এরদোগান, আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে ১০ মিলিয়ন শরণার্থীকে তুরস্কে আসার অনুমতি দিয়েছেন । আপনি আমদানি করা ভোট পেতে তুর্কি নাগরিকত্ব বিক্রি করেছেন ।’ সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে,তুরস্কে প্রায় ৪ মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী অধ্যুষিত দেশ হল তুর্কি । রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কামাল কিলিকদারোগলু বলেছেন যে তিনি ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে সমস্ত শরণার্থীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠাবেন । তিনি বলেন,’আপনার (এরদোগান) এই খেলাকে আমরা সফল হতে দেব না। আমি কখনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে বসিনি,আর বসবও না ।’ তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি এখানে ঘোষণা করছি যে আমি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে সমস্ত শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাব ।’
নির্বাচনী প্রচারে কামাল কিলিকদারোগ্লু বলেছিলেন যে জাতিসংঘের সাথে নিরাপত্তা ও সমন্বয়ের জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর, তারা আগামী দুই বছরের মধ্যে তুরস্কে বসবাসকারী সিরিয়ানদের তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ।
এদিকে যখন আশা করা হচ্ছে যে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৃতীয় প্রার্থী সেনান ওগান দ্বিতীয় রাউন্ডে কামাল কিলিকদারোগ্লুকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন ।সিনান ওগান একজন অতি- জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ যিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসী বিরোধী দলের প্রার্থী ।প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনে ৫.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ওগান । ছয়টি বিরোধী দলের জোটের প্রার্থী কামাল কিলিকদারোগ্লু রবিবারের ভোটে ৪৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন জিতেছেন, যেখানে এরদোগান ৪৯.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং নির্বাচনকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া থেকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন ।।