এইদিন ওয়েবডেস্ক,হাওড়া,১৮ জানুয়ারি:করোনা আবহের পর থেকে চরম অব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে হাওড়ার আন্দুল রোডের যক্ষ্মা হাসপাতাল। রোগীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ১৯৫৮ সালে বাম আমলে গড়ে ওঠেছিল এই হাসপাতাল। নিখরচায় মানুষ পরিসেবা পেতেন।বহু মানুষের ভরসা ছিল।কিন্তু চরম উদাসীনতার শিকার হয়ে এই হাসপাতালটি আজ বন্ধের মুখে।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে আর্থিক সংকটের কারনে সুষ্ঠ পরিসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।শয্যাসায়ী রোগীদের চিকিৎসা কোনও রকমে পরিষেবা দিতে পারলেও তিনবেলা খাওয়ার ও নানা খরচে দিশেহারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ১৯৫৮ সালে ডাঃ নিরঞ্জন চক্রবর্তী ও সিপিআইএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার শনদ কুমার চ্যাটার্জীর উদ্যোগে যক্ষ্মা হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়।৬৩ বছর ধরে হাসপাতালে নিখরচায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পরিসেবার জন্য এই হাসপাতালে ভর্তি করা হতো।তারা এখানে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতেন।
এদিন দেখা যায় ২৫।শয্যার হাসপাতালটিতে
বর্তমানে সাতজন যক্ষ্মা রোগী শয্যাসায়ী রয়েছে।রয়েছে তিনিজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে ১২ জন অস্থায়ী কর্মী।
হাসপাতাল কর্মীরা জানান রোগী থাকলেও যে কোনোভাবে অর্থের যোগান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি আজ বন্ধের মুখে। করোনা আবহের আগে পর্যন্ত এই অবস্থা হয়নি। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। তাতে চলে যেত। এখন অনুদান বন্ধ। হাসপাতালের ট্রাষ্টি বোর্ডের স্বল্প অনুদানে হাসপাতালের কিছুটা সমস্যা সুরাহা হলেও আনুষাঙ্গিক খরচের অভাবে যান্ত্রিক পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না রোগীদের।
বর্তমানে হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা সায়নী ভট্টাচার্য্য বলেন,এখানে বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। রোগীর তুলনায় হাসপাতালের ব্যয় বেশি।চিকিৎসক ও অস্থায়ি কর্মীদের মাসিক বেতন দিতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে।রোগীদের খাওয়া দাওয়া চিকিৎসকদের থাকার ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।”
জানা যায় এবছর থেকে হাসপাতালে নিখরচায় দুস্থ মেধাবি ছাত্রীদের ফ্রীতে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার দুস্থ মানুষদের কথা মাথায় রেখে সাপ্তাহিক বহির্বিভাগ খোলা হয়েছে।সেখানেও নিখরচায় চিকিৎসা পরিসেবার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঔষধও ফ্রীতে দেওয়া হয়ে থাকে। কর্মকর্তারা জানান প্রয়োজনীয়তা থাকলেও হাসপাতালে অর্থের যোগানের অভাবে পরিসেবা চালু রাখাই দুস্কর হয়ে দাড়িয়েছে ।।