২০২৬ সাল পাকিস্তানের জন্য রক্তাক্ত হতে চলেছে । কারন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) পাকিস্তানে নিজস্ব সরকার গঠনের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে । একটি গোপন বৈঠকের পর টিটিপি একটি নতুন অপারেশনাল ব্লুপ্রিন্ট প্রকাশ করে ফেলেছে।এই নতুন কাঠামোতে সামরিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং শাসন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সবচেয়ে চমকে দেওয়ার মত বিষয় হল সেলিম হাক্কানির নেতৃত্বে একটি “বিমান বাহিনী ইউনিট” গঠন। টিটিপি দাবি করেছে যে এই ইউনিটটি ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে। নতুন সাংগঠনিক কাঠামোর অধীনে, সমস্ত সামরিক অঞ্চলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে।এহসানুল্লাহ আইপিকে দক্ষিণ সামরিক অঞ্চলের প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে, আর হিলাল গাজীকে কেন্দ্রীয় সামরিক অঞ্চলের উপ-প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া, টিটিপি দুটি নতুন তত্ত্বাবধান অঞ্চলও তৈরি করেছে: পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল (বেলুচিস্তান) এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চল।
টিটিপির বিমান বাহিনীর ইউনিট প্রচলিত যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত নেই । বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইউনিটটি মূলত কোয়াডকপ্টার এবং ড্রোন-ভিত্তিক আক্রমণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, টিটিপি খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং বান্নু অঞ্চলে বাণিজ্যিক ড্রোন ব্যবহার করে অসংখ্য আক্রমণ চালিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৫ সালেই ৫৪টিরও বেশি ড্রোন হামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে নিশ্চিত বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিমান বাহিনীর ইউনিটের সাহায্যে, টিটিপি ড্রোন আক্রমণকে আরও সংগঠিত, দ্রুত এবং সমন্বিত করার লক্ষ্য রাখতে পারে। যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, কোনও নিষিদ্ধ সংগঠন কোনও সরকারী বিমান বাহিনী পরিচালনা করতে পারে না, এই ঘোষণা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং সরকারের মধ্যে উদ্বেগ জাগিয়ে তুলেছে।
টিটিপি তাদের নতুন কাঠামোতে কাশ্মীরকে একটি নতুন উইলাইয়াত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই পুরো কাঠামোটি আফগান তালেবানের ‘ছায়া শাসন মডেল’ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং পাকিস্তানে টিটিপির দখল শক্তিশালী করার আকাঙ্ক্ষার দিকে ইঙ্গিত করে।।

