এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,০৯ আগস্ট : ভারতীয় পণ্যের উপর দু’ধাপে ২৫% শতাংশ করে মোট ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । যেকারণে দু’দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে । এদিকে ভারত-রুশ-চীন মিলে একটা নতুন জোট ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে । যাতে উদ্বিগ্ন মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক । এরই মাঝে ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন যে ভারতের উপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ বুমেরাং হয়ে যাবে । তিনি বলেছেন,’ভারতের উপর শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প ভুল হিসাব করেছেন । ভারতকে রাশিয়ার তেল কিনতে নিরুৎসাহিত করে রাশিয়ার ক্ষতি করার জন্যই এই শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হয়েছিল । কিন্তু এটি রাশিয়া এমনকি চীনের আরও কাছে নিয়ে আসতে পারে ভারতকে ।’ তিনি আরও বলেন,’শুল্ক আরোপ ভারতকে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য করবে । ভারত খুবই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা কৌশলগতভাবে আমাদের জন্য ভালো নয় ।’
এদিকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে দোলাচলে রয়েছে খোদ মার্কিন কর্তৃপক্ষ । মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের প্রধান উপ-মুখপাত্র টমি পিগট গতকাল বলেছেন,’ভারত একটি কৌশলগত অংশীদার এবং ট্যারিফ বিরোধের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকলেও আমেরিকা ভারতের সাথে “পূর্ণ ও খোলামেলা সংলাপে” জড়িত।’ চীন এবং অন্যান্য ব্রিকস দেশগুলি মার্কিন বাণিজ্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে কিনা জানতে চাওয়া হলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে যে তারা ভারতের সাথে সংলাপ “চালিয়ে যাবে”।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টমি পিগট বলেন, ‘ভারতের ক্ষেত্রে আমি যা বলতে পারি তা হলো, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা, রাশিয়ান তেল কেনার ক্ষেত্রে তাঁর উদ্বেগ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি খুব স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন। আপনি তাকে সরাসরি এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দেখেছেন… ভারত একটি কৌশলগত অংশীদার যার সাথে আমরা পূর্ণাঙ্গ এবং খোলামেলা আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। এটি অব্যাহত থাকবে ।’
ভারতের সাথে “ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক” এবং নয়াদিল্লির চীনের সাথে “ঘনিষ্ঠ” হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বেগে আছে কিনা জানতে চাইলে, পিগট হেঁয়ালি বজায় রাখেন৷ তিনি বলেন,’এটি এই প্রশাসনের প্রকৃত উদ্বেগগুলি সম্পর্কে একটি সৎ, পূর্ণ এবং খোলামেলা সংলাপ সম্পর্কে, যা রাষ্ট্রপতি খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেই উদ্বেগগুলি সমাধান করেছেন, সেগুলি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা সে রাশিয়ান তেল ক্রয় সম্পর্কে হোক বা বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সম্পর্কে। এই উদ্বেগগুলি সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি খুব স্পষ্ট করেছেন। পরিশেষে, এটি একটি খোলামেলা এবং সম্পূর্ণ সংলাপ সম্পর্কে। আমেরিকান স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার অর্থ এটাই, অংশীদারদের সাথে পূর্ণ কূটনৈতিক সংলাপ করার অর্থ এটাই যে উদ্বেগগুলি সমাধান করা আমাদের প্রয়োজন ।’ এদিকে ভারতীয় আমদানিতে তার প্রশাসনের দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে শুল্ক নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে কোনও বাণিজ্য আলোচনা হবে না ।।