নিজস্ব প্রতিনিধি,কালনা(পূর্ব বর্ধমান), ১০ ফেব্রুয়ারী : ছাগল নিয়ে ধুন্ধুমার ! প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ছাগল বিতরণে গড়মিল ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামের কমিউনিটি হলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কয়েকশো মহিলা।বুধবার দুপুর থেকে কয়েক ঘন্টা ধরে এই বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মন্তেশ্বর থানার পুলিশও উপস্থিত হয় ।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় যে,কয়েকদিন আগে কুসুমগ্রামের প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে মন্তেশ্বরের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি করে গোষ্ঠীকে ২১ টি করে ছাগল দেওয়া হয়।আর সেই ছাগল স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেই গোষ্ঠীদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রাণী ও মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মুখোপাধ্যায়।আর এই ছাগল বিতরণ নিয়েই গড়মিলের অভিযোগ তুললেন মাঝেরগ্রাম অঞ্চলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।শুধু তাই নয় সংঘের সভানেত্রী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাগল দিয়ে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তাঁরা । যদিও সেই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন সংঘের সভানেত্রী বাণী দাস।
এই বিষয়ে সীমা বাগ,সোনালী পালেরা বলেন,‘যে ছাগলগুলি দেওয়া হয়েছিলো তার কোনো হদিশ মেলেনি।গোষ্ঠীরা সেই অভিযোগ তোলায় আমরা এখানে এসেছিলাম।অভিযুক্তরা ঘরে তালা দিয়ে বসে আছে।ছাগল যাদের নামে এসেছে তাদেরকেই দেওয়া হোক।শুধু তাই নয় আমরা বেশ কয়েক বছরের সমস্ত হিসাব চেয়েছি সংঘের সভানেত্রীকে।’এই বিষয়ে সংঘের সভানেত্রী বাণী দাসকে ছাগল দিয়ে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তার দাবি,‘এই অভিযোগ ঠিক নয়।স্বাস্থ্যসাথী করার জন্য যাতায়াতের জন্য ত্রিশ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।’একুশটি ছাগলের হিসাবের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,‘একটি গোষ্ঠীর এগারোটি মেয়েকে ছাগল দিয়েছি।বাকি ছাগলগুলোকে দেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা করে তা দেবো এইটাই ভেবেছিলাম।’
যদিও অন্যান্য গোষ্ঠীর মহিলাদের দাবি অনুযায়ী এইদিন বাণী দাস সহ তার সহকর্মীরা মুচলেকা দেন যে সাতদিনের মধ্যে তেরো বছরের সমস্ত হিসাব তারা বুঝিয়ে দেবে।এই বিষয়ে প্রধান বিপল রায় জানান,‘পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে ছাগল বিতরণ করা হয়েছিলো।পঞ্চায়েত এই বিষয়ে কিছু জানে না।’।