এইদিন ওয়েবডেস্ক,আগরতলা,২৩ মে : ত্রিপুরা পুলিশ একজন কুখ্যাত মানব পাচারের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করেছে । হান্নান মিয়া নামে ওই সন্ত্রাসবাদী জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত ছিল । ত্রিপুরার বিশালগড়ের রাস্টার মাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে । হান্নান মিয়া বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা ও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে ঢুকিয়ে জনবিন্যাসের পরিবর্তন করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সাথে যোগ ছিল বলে সূত্রের খবর । ওই কুখ্যাত মানব পাচারকারী গ্রেফতার হওয়ার পর এই অঞ্চলে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবসান ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে । গ্রেপ্তারের পর, আসাম থেকে তিন সদস্যের এনআইএ টিম ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য অবিলম্বে ত্রিপুরায় পৌঁছেছিল। রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়, এবং হান্নান মিয়াকে বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলার মতি নগর এলাকার বাসিন্দা হান্নান মিয়াকে ধরতে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ । এনআইএ তার নাম ঘোষণা করার পর থেকে তারা হান্নান মিয়ার সন্ধানে ছিল । সূত্রগুলি ইঙ্গিত দেয় যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সাথে হান্নান মিয়ার সংযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে । এছাড়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী । ভারতে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল সে । ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর এই ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসে । ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের একটি ৪৫০ জনের একটা দলকে সনাক্ত করে এন আই এ । পরে ধৃতদের জেরা করে মানব পাচারের মাস্টারমাইন্ড হান্নান মিয়ার সন্ধান পাওয়া যায় । তাকে পাকড়াও করতে আসাম পুলিশসহ একাধিক রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় তল্লাশি অভিযানে নামে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) । অবশেষে আসে সাফল্য ।
হান্নান মিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র), ১২১এ (মৃত্যু বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দণ্ডনীয় অপরাধ করার ষড়যন্ত্র), ১৫৩এ(১) (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা),১৫৩ বি, ৪৬৫ (জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথি ব্যবহার করা), ২৯৫এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য ইচ্ছাকৃত কাজ),১০৯ (প্ররোচনা), ৩৭০ (মানব পাচার) এবং ভারতীয় পাসপোর্ট আইন ১৯৬৭-এর একাধিক
ধারার অধীনে এফ আই আর নথিভুক্ত করা হয়েছেন । জাতীয় একীকরণের জন্য ক্ষতিকর), ৪৬৫ (জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথি ব্যবহার করা), ২৯৫এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য ইচ্ছাকৃত কাজ),১০৯ (প্ররোচনা), ৩৭০ (মানব পাচার) এবং ভারতীয় পাসপোর্ট আইন ১৯৬৭-এর একাধিক ধারায় এফ আই আর নথিভুক্ত করা হয়েছে । হান্নান মিয়ার গ্রেফতারি আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ মোকাবেলা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে চিহ্নিত করে ।।