প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান ২৮ জানুয়ারী : দিল্লিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হয়ে আলাপচারিতা সারলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু। এমনকি সোমবার দিল্লিতে হওয়া একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যও রাখেন।সেই বক্তব্য শুনে দেবু টুডুর উপলব্ধি হয়েছে,”প্রধানমন্ত্রী তার দলকে অনেক বেশী মান্যতা দেন। প্রধানমন্ত্রী দলের কার্যসূচির বাইরে এক পা-ও চলেন না। দলের রাজনৈতিক প্রস্তাবনাকেই তিনি সরকারি কর্মসূচির মধ্যে চালানোর চেষ্টা করেন“।সংবিধানে যে ঐক্য, সাম্য,বৈচিত্রের কথা বলা হয়েছে সেটাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করার পক্ষে দেবু টুডু সওয়াল করেছেন।
৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে জনজাতি-অতিথি হিসেবে বাংলা থেকে দিল্লির রেড রোডে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু।এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের বিরবাহা সোরেন টুডু। আমন্ত্রণ পাওয়ার পর গত ২২ জানুয়ারি তাঁরা দিল্লি পৌছে যান। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই দুই অতিথি নিজের নিবাসে ফিরবেন ৩ ফেব্রুয়ারি।
২৬ জানুযারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বিদেশি অতথিদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ’কুচকাওয়াজ’ দেখার সুযোগ হয়ছিল দেবু টুডুর।আর সোমবার এনসিসি দিবসে একটি সভায় বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে দেবুরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিবাদন গ্রহণ করেন। তাতে বেজায় আপ্লুত দেবু। তিনি এদিন বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে বসে যখন দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখছিলাম তখন গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। শিহরণ জাগছিল।খুবই গর্ব বোধ করছিলাম যখন কুচকাওয়াজে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ট্যাবলো, ছৌ নাচ, বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটা সজ্জিত প্রদর্শনি কুচকাওয়াজে যাচ্ছিল।
প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দু’জন করে জনজাতি-অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। সেই আমন্ত্রণে অংশ নেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে দেবু টুডু ও বিরবাহা সোরেন টুডুকে মনোনীত করা হয়।সেই সংক্রান্ত চিঠি রাজ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেয়।সেইমত ২২ জানুয়ারি দিল্লি পৌঁছানোর পর থেকেই দেবু টুডু ও বিরবাহা সোরেন টুডু যুব আবাসে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে গাড়ি ও নিরাপত্তা রক্ষীও থাকছে। বিভিন্ন রাজ্যের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনজাতি প্রতিনিধিরা একটি সভায় ইতিমধ্যে বক্তব্য রাখেছেন।দেবু টুডু বলেন,ওই সভায় আমি “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে যে অগ্রগতির রথ ছুটছে, সেকথা তুলে ধরেছি। সাথে সাথে এও বলেছি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শক্তিশালী হচ্ছে, স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে।সড়ক উন্নয়ন থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়, সেই উন্নয়নেরই একটা স্মারক।রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে ১২ লক্ষ গরিব পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথাও তুলে ধরেছেন বলেন দেবু টুডু জানান। তিনি দাবি করেন ,’২৫ বছর ধরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি বুঝেছেন পশ্চিমবঘঙ্গ রাজ্যে পঞ্চায়েতের বুনিয়াদ অত্যন্ত শক্তিশালী।তার কারণে অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে আমাদের রাজ্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছে।।