এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,১৩ অক্টোবর : আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানাতে জনবহুল সড়ক পথের উপর দেবীদুর্গার ‘ত্রিনয়ন’ ও ‘ত্রিশুল’ আঁকিয়েছিল সিপিএম । স্বভাবতই হিন্দু ধর্মের ওই সমস্ত পবিত্র প্রতীক পায়ে মাড়িয়ে যেতে দেখে ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় হিন্দুরা । ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর এলাকায় । ক্ষিপ্ত হিন্দু যুবকরা তথাকথিত ‘সেকুলার’ সিপিএম নেতা গুনাধর মাইতিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানান । গুনাধরের কাছ থেকে এটাও জানতে চাওয়া হয় যে কেন তারা হিন্দুদের আস্থার অসম্মান করছেন । যদিও গুনাধরের কাছ এই বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি ।
সিপিএমের এহেন কীর্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি ওই সিপিএম নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভের মুহুর্তের ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’এই ভদ্রলোকের নাম হলো গুনাধর মাইতি।এর পরিচয় হলো ইনি একজন ছাপমারা সেকু-মাকু নাস্তিক। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে পথচারীদের জুতোর তলায় পদদলিত করানোর উদ্দেশ্যে রাস্তার ওপর মায়ের ত্রিনয়ণ ও ত্রিশূল আঁকতে এদের কুন্ঠাবোধ হয় না।’
তিনি লেখেন,’সিপিএম-এর ভগবানপুর-১ ব্লক কমিটির এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য; গুনাধর মাইতি এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন ভগবানপুরে। কিন্তু ভালো খবর হলো যে, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের যুবক যুবতী জাগছে। এক দল হিন্দু যুবক ওনাকে ঘিরে ধরে ওনার কুমতলবের বিষয়ে জানতে চায়। কোনো সদর্থক উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি। তারপরে দাঁড়িয়ে থেকে এই ভাইয়েরা রাস্তায় আঁকা ত্রিনয়ণ ও ত্রিশূল মুছে দেয়।’
পরিশেষে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,’এই সব মার্কামারা সেকু-মাকু নাস্তিকদের আপনারা আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায় ও কলকাতার গার্ডেনরিচের দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল থেকে সহস্র হাত দূরে থাকতে দেখবেন যেখানে এক দল দুষ্কৃতী এসে প্যান্ডেলের মধ্যে অসভ্যতা করে মূর্তি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। এদের ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রদর্শন হলো, কি করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হানা যায়। অন্যদের বেলায় এদের গলা থেকে টুঁ শব্দটি বেরোয় না।এদের ভণ্ডামি এখন অনাবৃত, তাই এখন প্রতিবাদের ভাষা অথবা শিল্পের নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হিন্দু ধর্মের অপমান করার প্রচেষ্টা মানুষের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।’।